তৈরি পোশাকশিল্পের বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে মালিকপক্ষ ৬ শতাংশ ও শ্রমিকপক্ষ ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। আলোচনার অগ্রগতি হয়নি, ২৮ নভেম্বর চতুর্থ বৈঠক হবে।
গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ২৬ বছর বয়সী ইয়াসমিন লাবণী। সেখানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশনস লিমিটেড নামে এই কারখানায় তৈরি পোশাক অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন রিটেইলার কোম্পানি মোজাইকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই মোজাইকের দোষে এখন পথে বসার অবস্থা লাবণীর।
পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন’ (লিড) সনদ পেয়েছে দেশের আরও একটি প্রতিষ্ঠান। নতুন যোগ হওয়া কোম্পানিটি নিয়ে দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩০টি।
অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে। ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে পোশাক কেনা কমিয়েছে ওই সব দেশের নাগরিকেরা। চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এতে ইইউয়ে
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনকে।
ক্লিন ক্লদসের কো-অর্ডিনেটর ক্রিস্টি মিডেমা বলেন, ‘লিভাই’স এই আন্তর্জাতিক চুক্তি যুক্ত হয়ে এর পাকিস্তান কর্মসূচিতে স্বাক্ষর করেছে। শ্রমিক ও কর্মীরা এই বিষয়টিকে স্বাগত জানায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, কোম্পানিটি এই চুক্তির বাংলাদেশ কর্মসূচিতেও স্বাক্ষর করবে এবং শিল্পমালিকদের নেতৃত্বাধীন তুলনাম
দেশে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাটের পরেও অর্থনীতি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর করে টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে লাভবান হয়েছে ভারতের তৈরি পোশাক শিল্প। ভারতের এই খাতের অংশীদারেরা এমনটাই মনে করছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ম্যারিটাইম গেটওয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শীর্ষ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পে শুরু হয় শ্রমিক অসন্তোষ। এতে সাভারের আশুলিয়ার বড় শিল্পগোষ্ঠীর কারখানাগুলোতে টানা এক মাস উৎপাদন ব্যাহত হয়। গাজীপুরের কিছু কারখানায় বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনাও ঘটে।
বাংলাদেশে ব্যয় বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং চীনের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সুযোগে পাকিস্তানের তৈরি পোশাক খাতের পোয়াবারো! পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈশ্বিক ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি বেশি ক্রয়াদেশ পাচ্ছে পাকিস্তানের টেক্সটাইল শিল্প। ফলস্বরূপ, এই শিল্পের রপ্
২০২৪ সালটি তৈরি পোশাকশিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর বছর হতে পারবে মনে হচ্ছিল। এ দেশের শ্রমিক শ্রেণির অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। প্রথম অবস্থানে চীন। বর্তমান বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হিস্যা ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। সেখানে চীনের হিস্যা ৩১ শতাংশের কিছু বেশি। দেশে এ সেক্টরে প্রচ
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে ছুটি দেওয়া বেশির ভাগ কারখানাই আজ বৃহস্পতিবার চালু হয়েছে। তবে দুপুরের দিকে আশুলিয়ার আল মুসলিম গ্রুপের একটি কারখানার জিএমকে মারধর করেন শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) সারোয়ার আলম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।
পোশাক, সিরামিক এবং ওষুধশিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে যৌথ বাহিনী নামার পরও গতকাল বুধবার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এর জেরে গাজীপুরের ৬০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে ৫০টির বেশি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হ
দেশের গার্মেন্টস বা তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে অসন্তোষ থামছে না। গতকালের ধারাবাহিকতায় আজ বুধবারও ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকার শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে সড়কে নেমেছেন। বিক্ষোভের মুখে আজ অর্ধশতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এসব কারখানায় গত সোমবার থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ চলছিল।
তৈরি পোশাকশিল্পের পাশাপাশি দেশের ওষুধশিল্পে শ্রমিকদের চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাঁদের অসন্তোষের কারণে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের বড় ওষুধ কারখানাসহ ১৯টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ।
যথাযথ নীতি সহায়তা এবং অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে দেশের তৈরি পোশাক খাত প্রতিযোগী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে বিশ্ববাজারে শীর্ষস্থান দখল করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ব্যবসায়ীরা নেতারা।
পুরোনো ক্রয়াদেশের পণ্য সরবরাহ করতে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও ফুটওয়্যার শিল্প আবারও পুরোদমে কাজে লেগে গেছে। শ্রমিকেরাও অতিরিক্ত কাজ করছেন। তারপরও বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে আপাতত ক্রয়াদেশ স্থগিত রেখেছেন সাময়িকভাবে। আর এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে ভারতেও। বাংলাদেশে দেশটির তুলা রপ্তানি কমে যেতে শুরু করেছে