হোম > খেলা > অন্য খেলা

মোহামেডানের হুমকিকে ফেডারেশন বলছে ‘মামা বাড়ির আবদার’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০: ৪৬

প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগ জেতার সমীকরণের সামনে মোহামেডান, আবাহনী ও মেরিনার্স। আগামীকাল লিগের শেষ দিনে শিরোপা জিততে পারে এই তিন দলের যে কেউ। শিরোপাকে সামনে রেখে যেখানে কঠিন অনুশীলনে ব্যস্ত থাকার কথা, সেখানে আজ মোহামেডান আর হকি ফেডারেশনের নাটকে সরগরম ঘরোয়া হকি।

ঘটনার সূত্রপাত গত পরশু ঊষা ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে মোহামেডান অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমির হলুদ কার্ড দেখাকে কেন্দ্র করে। সব মিলিয়ে লিগে তিন হলুদ কার্ড দেখায় জিমি আবাহনীর বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলতে পারবেন না, মোহামেডানকে গত পরশু ফেডারেশন চিঠি দিয়ে অবহিত করার পর শেষ ম্যাচ না খেলার হুমকি দিয়ে রেখেছিল লিগে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা দলটা। আজ রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াকওভার দেওয়ার হুমকি দিয়েছে মোহামেডান। তবে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) তা পাত্তা দিচ্ছে না।

ক্লাব ভবনে সংবাদ সম্মেলনে চলমান লিগে আজ নানা অনিয়ম, নিম্নমানের আম্পায়ারিং, পক্ষপাত আচরণসহ অনেক অভাব-অভিযোগ তুলে ধরার কথা থাকলেও মোহামেডানের মূল দাবি ছিল জিমির হলুদ কার্ড প্রত্যাহার। লিগের বাইলজে কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে তৃতীয় কার্ডের আগে ক্লাবকে অবহিত করার কথা থাকলেও, ফেডারেশন সেটি করেনি; এমন দাবি তুলেছে হকির অন্যতম সফল দলটি। জিমির তৃতীয় হলুদ কার্ডকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে আবাহনীর বিপক্ষে জিমিকে খেলতে দেওয়ার জন্য ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে আজ রাত পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে মোহামেডান। দাবি পূরণ না হলে কাল আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে না নামার হুমকি দিয়েছে ক্লাবটি। মোহামেডানের সাবেক পরিচালক সারোয়ার হোসেন আজ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের চিঠি দিয়ে রাসেল মাহমুদ জিমির যে বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে সেটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি। সেটি না হলে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা দলটি লিগে অংশ না নিতে বাধ্য হবে। যদি তারা (ফেডারেশন) এর মূল্যায়ন না করে তাহলে হয়তো আমরা ভবিষ্যতে নাও খেলতে পারি।’

লিগে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মোহামেডান। আগামীকাল আবাহনীকে হারালেই ২০১৮ সালের পর আবারও লিগ শিরোপা জিতবে সাদা-কালো দলটি। মোহামেডানের প্রতিপক্ষ আবাহনী। আকাশি-নীলদের পয়েন্ট ৩৪। যদি কাল মোহামেডানকে হারিয়ে দেয় আবাহনী আর পুলিশের বিপক্ষে জয় পায় মেরিনার্স, তাহলে আবাহনী-মেরিনার্সের পয়েন্ট হবে সমান ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী শীর্ষ দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে প্লে-অফ খেলে নির্ধারণ হবে শিরোপা। মোহামেডানের শঙ্কা, তাদের হারিয়ে বাইলজ এড়িয়ে যুগ্মভাবে শিরোপা জিততে চায় আবাহনী ও মেরিনার্স। তাই চক্রান্ত করে দলের সেরা খেলোয়াড় জিমিকে মাঠের বাইরে রাখা হচ্ছে বলে দাবি মোহামেডান দলের ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্সের। তিনি নিজে ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ফেডারেশনের সাধারণ মোমিনুল হক সাঈদের দিকে, ‘আম্পায়ারের উদ্দেশ্যই ছিল যেকোনো উপায়ে সে জিমিকে কার্ড দেবে যাতে ফাইনাল ম্যাচটা না খেলতে পারে। এর সঙ্গে ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত। সরাসরি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জড়িত। তিনি নিজে মেরিনার্স ক্লাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।’ ক্লাবের স্বার্থে ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগের হুমকি দিয়ে রেখেছেন প্রিন্স।

তবে মোহামেডানের অনুরোধকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক সাঈদ। কোনো অনুরোধেই বাইলজ ভাঙা হবে না, এমন মন্তব্য করে সাঈদ বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড় যদি দুটি হলুদ কার্ড পেয়ে খেলতে এসে তৃতীয় হলুদ কার্ড পাওয়ার পর যদি বলে সে নিষেধাজ্ঞা পাবে না, এমন মামার বাড়ির আবদার রাখার মতো কোনো উপায় হকি ফেডারেশনের নেই। আমাদের ম্যাচ কমিশনার আমাকে জানিয়েছেন তিনি দুই কার্ড পাওয়ার পর মোহামেডান ক্লাবকে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং দলের ম্যানেজার বিষয়টি গ্রহণ করেছেন। জিমি নগ্নভাবে আম্পায়ারকে হুমকি দিয়েছে, আর এটা মোটেও খেলোয়াড়সুলভ আচরণ নয় বলেই আম্পায়ার তাঁকে হলুদ কার্ড দিয়েছেন। এখানে বাইলজ ভাঙার কোনো এখতিয়ার আমার নেই।’

‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রেই থেকে যাব’

‘সবাই শুধু আশা দেখায়’

নতুন বছরে লক্ষ্য গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া

হকি ফিরতেই হট্টগোল

সেকশন