বগুড়া প্রতিনিধি
যমুনা নদীর পানি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। চারদিকে ধু ধু বালুচর। বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনার বিস্তীর্ণ এই চরে মরিচ ও ভুট্টার পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে চিনাবাদামের চাষ শুরু হয়েছে। খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় চিনাবাদাম চাষে কৃষকের ঝোঁক বাড়ছে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, তিন উপজেলায় যমুনা নদীর চরে চলতি মৌসুমে ৫০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদামের চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ করা হয়েছিল ৪৪ হেক্টর জমিতে। ৫০ হেক্টর জমিতে ৭৩৩ টন চিনাবাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে কৃষি বিভাগ। তবে কৃষকেরা বলছেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় বাদাম উৎপাদন অনেক বেশি হবে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজল, ধারা বর্ষা, শোনপচা চর ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের চিনাবাদামের খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। শোনপচা চরের কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাদাম চাষে সার ও নিড়ানি প্রয়োজন হয় না, সেচও দিতে হয় খুব কম। যে কারণে বাদাম চাষে খরচ একেবারেই কম। ফলন এবার বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ১০ মণ হবে বলে জানান তিনি।
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, কৃষককে উৎপাদিত বাদাম বিক্রির জন্য হাটে যেতে হয় না। ব্যাপারী জমি থেকেই বাদাম কিনে নিয়ে যায়। কাঁচা অবস্থায় জমি থেকে বাদাম বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। সেই বাদাম শুকিয়ে বিক্রি হয় ১৫০ টাকা কেজি। কম খরচে ফলন ভালো পাওয়ায় চরের অনেক কৃষক এখন চরে বাদাম চাষ শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চরের জমি অত্যন্ত উর্বর। শুষ্ক মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফসল এখানে ভালো হয়। জমি উর্বর হওয়ায় তেমন সার প্রয়োগ করতে হয় না। কয়েক বছর ধরে কৃষক চরে বাদাম চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছে। দিন দিন চরে বাদাম চাষ বাড়ছে।