নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ৯৪১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ বুধবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ সাবেক এই মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর নামে মামলা দুটি করা হয়। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
কুমিল্লা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নামে হওয়া মামলার অভিযোগে বলা হয়, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৯৩৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি নিজ নামের ৩৫টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার ১১৭ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্পদের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করাসহ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
তাজুল ইসলামের স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের নামে দায়ের হওয়া মামলায় আসামি করা হয়েছে মো. তাজুল ইসলামকে। ফৌজিয়া ইসলামের নামে ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং নিজ নামের ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ২৭ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৮ টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে কুমিল্লা-৯ আসনের এমপি নির্বাচিত হন তাজুল ইসলাম। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত বছরের আগস্ট মাসে তাজুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।