জবি প্রতিনিধি
দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ডাকা শাটডাউন কর্মসূচিতে আজ মঙ্গলবারও স্থবির ছিল ক্যাম্পাস।
এদিন সকাল থেকে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। তালা ঝুলতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শহীদ একাডেমিক সাজিদ ভবন, আর্টস ফ্যাকাল্টি, বিজ্ঞান অনুষদের ভবনগুলোর ফটকে।
প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীরা তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় যাতায়াতের জন্য পেছনের গেট ব্যবহার করছেন উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাকসুদুল হক বলেন, ‘শাটডাউন কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করা হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানটিন, মেডিকেল সেন্টার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রশাসনিক ভবন চালু রয়েছে। আমরা আগামীকালের বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছি। বৈঠকটি ফলপ্রসূ হলে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করব, তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, ‘সচিবালয় থেকে আমাদের যে দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং আমরা বলেছি, দাবি লিখিত আকারে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা এই কমপ্লিট শাটডাউন চালিয়ে যাব। আমাদের দাবিগুলো মানতেই হবে, না মানার কোনো সুযোগ নেই।’
এর আগে গত রোববার তিন দাবিতে অনশনে বসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে গতকাল সোমবার সচিবালয়ের প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এদিন রাত ৮টা নাগাদ শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবির দুটি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয় মন্ত্রণালয়। পরে ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। তবে আজ বুধবারের সভা থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাঁরা।