রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে মেঘনায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের সেই তিন জেলের খোঁজ ৯ দিনেও পাওয়া যায়নি। স্বজনেরা নিখোঁজদের খবর পেতে দৌড়াচ্ছেন বিভিন্ন ঘাটে। নদী থেকে ফেরা জেলেদের কাছ থেকে তথ্য পেতে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। স্বজনহারাদের বাড়িতে এখন থেমে থেমে চলছে কান্নার রোল।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চর কাছিয়া গ্রামের আবুল কাশেম বেপারীর ছেলে লিটন বেপারী (৩৫), আব্দুর রব বেপারীর ছেলে শিপন বেপারী (২৩) ও রব সরদারের ছেলে সুজন সরদার (২৫)।
ঘটনার পর তিন দিন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, মৎস্য বিভাগ ও জেলে নৌকার মাঝিরা আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁদের খোঁজ পাননি।
এদিকে ঘটনার পরদিন চর কাছিয়া গ্রামের খালেক বেপারী ছেলে রাসেল বেপারী (৩০), রাশেদ বেপারী (১৬), ছোয়াব আলী হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৮), রাজু বেপারীর ছেলে বাচ্চু বেপারী (২৪), মজিব মোল্লার ছেলে জুনু মোল্লা (২৬), আক্কাছ আলী ভূঁইয়ার ছেলে মো. হাসান (১৮) ও নুর নবী চৌকিদারের ছেলে মো. জুয়েলকে (১৬) মতিরহাট এলাকার বিভিন্ন চর থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ জেলে সুজন সরদারের মা পারভিন আক্তার ও সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সুবর্ণা আক্তার জানান, সুজনকে জীবিত বা মৃত যেকোনো অবস্থাতেই ফিরে পেতে চান। তাঁকে খুঁজে বের করে দিতে সবার সহযোগিতা চান।
নিখোঁজ জেলে লিটন বেপারীর স্ত্রী মারুফা বেগম ও শিপন বেপারীর মা খাদিজা বেগম জানান, নিশ্চিত খবর না পাওয়া পর্যন্ত কষ্ট বাড়তেই থাকবে। তাঁরা নিশ্চিত খবর জানতে চান। লাশ হয়ে ফিরলেও অন্তত শেষবারের মতো দেখতে চান।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন দাশ বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে স্থানীয়ভাবে ও ফায়ার সার্ভিস এবং মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে তল্লাশি করা হয়। ফিরে আসাদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তাও করা হয়েছে।