নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
গভীর সাগরে বিকল হয়ে পড়া দুটি লাইটার জাহাজের ২৭ নাবিককে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। আজ রোববার কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল শনিবার লাইটার জাহাজ ‘এমভি হুমাইরা’ সকালে চট্টগ্রাম থেকে ৭৫০ টন কয়লা বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত থাকার পরও জাহাজটি সাগর পাড়ি দিতে থাকে। একপর্যায়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় লাইটার জাহাজটির হ্যাজ কভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভেতরে পানি ঢুকে এবং ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে।
এ সময় লাইটার জাহাজটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে উত্তাল সাগরে ভাসতে থাকে। পরে জাহাজটি নোয়াখালীর ভাসানচর লাইট হাউস থেকে আনুমানিক ১০ দশমিক ৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে নোঙরে অবস্থান করে এবং মোবাইল ফোনে লাইটারের নাবিকেরা প্রশাসনের কাছে উদ্ধার সহায়তা চান।
খবর পেয়ে জরুরি ভিত্তিতে কোস্ট গার্ডের জাহাজ ‘বিসিজিএস সবুজ বাংলা’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে রাত সাড়ে ১০টায় অর্ধডুবন্ত অবস্থায় লাইটার জাহাজের ১৩ জন নাবিককে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং খাবার সরবরাহ করা হয়। পরে তাদের চট্টগ্রাম উপকূলে এনে জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
অপর ঘটনায় এমভি মাস্টার সুমন-২ নামে লাইটার জাহাজটি ১ হাজার ১০০ টন কয়লা বোঝাই করে চট্টগ্রাম থেকে দাউদকান্দি যাচ্ছিল। একপর্যায়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পানি ঢুকে জাহাজ সাগরে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ভাসতে থাকে। এ সময় জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড থেকে আনুমানিক ৯.৫ নটিক্যাল মাইল উত্তরে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছিল। পরে জাহাজের নাবিকেরা ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান।
জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কলটি রিসিভ করে ছিলেন ৯৯৯ কল টেকার কনস্টেবল মো. আবদুল কাদের। কনস্টেবল কাদের তাৎক্ষণিকভাবে কোস্ট গার্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং সন্দ্বীপ কোস্ট গার্ডকে ঘটনাটি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের জাহাজ “সবুজ বাংলা” দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইটার জাহাজটি থেকে ১৪ জন নাবিককে নিরাপদে উদ্ধার করে।’