কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধি
প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি ও পরিবেশ দেখতে মিয়ানমারে গেছে ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। আজ শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের ট্রানজিট জেটিঘাট দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলটি মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ৩ নারীসহ ২০ জন রোহিঙ্গা ও ৬ জন সরকারি কর্মকর্তা এবং একজন দোভাষী রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রতিনিধিদলটি মিয়ানমারের পরিবেশ-পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সন্ধ্যায় টেকনাফে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা, নয়াপাড়া ও জাদিমুড়া এলাকায় অবস্থিত ২৪, ২৬ ও ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের ২০ জন রোহিঙ্গা নেতা রয়েছেন। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব মো. খালেদ হোসেন, ডিজিএফআই প্রতিনিধি মেজর মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, এনএসআই প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব বিশ্বজিৎ দেবনাথ, বিজিবি প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শাহজাহান ও অনুবাদক তারিক ইমরান রয়েছেন।
আরআরআরসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রত্যাবাসন শুরু হলে রোহিঙ্গাদের কোথায় রাখা হবে, সেই জায়গা এবং সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখতেই আমরা মিয়ানমারে যাচ্ছি।’
প্রতিনিধিদলে নাম থাকা ২৬ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা (হেড মাঝি) আবু সুফিয়ান বলেন, ২০ জনের রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে যাওয়া হচ্ছে। ভালো খারাপের বিষয়টি সেখান থেকে এসে জানা যাবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সকালে টেকনাফের নাফ নদী হয়ে রোহিঙ্গাদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে রওনা দিয়েছে। এসবের দেখভালের দায়িত্ব শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাইবাছাই করতে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশে এসেছিল মিয়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলটি টেকনাফ স্থলবন্দর রেস্টহাউজে অবস্থান করে ১৪৭ রোহিঙ্গা পরিবারের মোট ৪৮৬ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাইবাছাই করে। ২২ মার্চ সকালে প্রতিনিধিদলটি নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়।