তাসনিম হাসান, কক্সবাজার থেকে
সমালোচনার পর কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী পর্যটক ও তাঁর স্বামী-সন্তানকে নিজেদের হেফাজত থেকে ছেড়ে দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে পুলিশ তাঁদের বাসে তুলে দেয়। আজ সোমবার সকালে ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামী-সন্তান ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইনের বাসায় পৌঁছান।
তবে পুলিশের দাবি, তাঁরা নিজেদের মতো করে ঢাকায় চলে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের আটকে রাখিনি। তাঁরা নিজেদের মতো চলে গেছেন। আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন।’
পুলিশের হেফাজতে থাকার সময়ই নানা চাপের কথা জানিয়েছিলেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ও মামলার বাদী। ঢাকায় পৌঁছার পর আরও অনেক কথা বলবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
সোমবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জানান, চার দিন হেফাজতে রাখার পর গতকাল রাতেই পুলিশ তাদের গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাসে তুলে দেয়।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর দাবি করে বলেন, ‘একবার নয়, তিনবার ৯৯৯–এ ফোন করে আমরা সহযোগিতা চেয়েছিলাম। পুলিশের সহযোগিতা না পেয়েই র্যাবকে ফোন দিই। এখন আমরা পুলিশ নয় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।’
মামলার বাদীর বক্তব্যের বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘তাদের যদি বক্তব্য থাকে, তাহলে আদালতে পাঠাতে পারে। তারপর সেটি যদি আমাদের হাতে আসে তখন বিষয়টি আমরা দেখব।’
গত বুধবার রাতে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে দুই দফায় ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন ওই নারীর স্বামী। এর পর দিন থেকে ভুক্তভোগী নারী, তাঁর স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে নিজেদের রেস্ট হাউসের একটি কক্ষে আটকে রাখে পুলিশ। তাঁরা বারবার সেখান থেকে চলে যেতে চাইলেও পুলিশ যেতে দেয়নি। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে পুলিশ।