প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বড় পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা আমদানি পণ্যের বিপরীতে পাওয়া ব্যাংক ঋণই শোধ করতে পারছেন না। ব্যবসায় চরম মন্দার কারণে প্রায় ২০০ কোটি টাকা এলসি লোন খেলাপি হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এখানকার আমদানিকারকেরা। একে তো বর্ষা, তার ওপর লকডাউনে ক্রেতাশূন্য খাতুনগঞ্জ। ফলে আড়তেই পচছে ভোগ্যপণ্য সামগ্রী।
খাতুনগঞ্জের আমদানিকারক ‘জারিপ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের’ স্বত্বাধিকারী মনজুর মোরশেদ চীন থেকে আমদানি করেন পেঁয়াজ, রসুন, আদা। এসব পণ্য আমদানি করতে ব্যাংক ঋণ হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে পণ্য গুলো বিক্রি না হওয়ায় ব্যাংকের এলসির টাকা পরিশোধ করতে পারেননি।
মনজুর মোরশেদ বলেন, পেঁয়াজ পচছে গুদামে। ৫০ শতাংশ পেঁয়াজ চারা গজিয়ে যাচ্ছে। আদা–রসুনও পচে যাচ্ছে। খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ২০০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ছে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে।
খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা খাতুনগঞ্জে আসতে পারছেন না। ফলে এখানের আড়তে মালামাল পড়ে আছে কোরবানির ঈদের আগে থেকেই । এ পরিস্থিতিতে চরম ক্রেতা সংকটে ভুগছি।