কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পানির সংকটের সমাধান হয়নি। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনেরা। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নতুন মোটর স্থাপনের কাজ চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রাত ৮টার মধ্যে নতুন মোটর স্থাপনের কাজ শেষ হলে এই সংকট কেটে যাবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ৩০০-৩৫০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে ভর্তি থাকে। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে রোগী, স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অবস্থান করছে। প্রতিদিন এখানে ২০ হাজার লিটার পানির প্রয়োজন রয়েছে। পানি তোলার যন্ত্র (মোটর) বিকল হওয়ায় শনিবার বেলা ১১টা থেকে হাসপাতালের শৌচাগারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আজ সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বাইরে থেকে পানি এনে জরুরি কাজ সারছে। এদিকে পানিসংকটে শৌচাগার থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে পানির ব্যবস্থা করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
শৌচাগারে ব্যবহারের জন্য পানিও লোকজনকে কিনে আনতে হচ্ছে। রোগীর স্বজনেরা আশপাশের দোকান থেকে কিনে কিংবা অনেক দূর থেকে হেঁটে ফিল্টার ও বাসাবাড়ি থেকে বোতল, বালতিতে করে পানি নিয়ে আসছে।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারী জানান, গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুটি গাড়িতে করে ৮ হাজার ৬০০ লিটার পানি দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত) তত্ত্বাবধায়ক ডা. নূর মোহাম্মদ শামসুল আলম জানান, গতকাল রাতে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে যে পরিমাণ পানি আনা হয়েছিল, সে পানি দিয়ে গতকাল রাত থেকে সকাল পর্যন্ত চলছে। এখন আবার জনস্বাস্থ্য থেকে খাওয়ার পানি আনা হয়েছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোবাইল ফোনে নূর মোহাম্মদ শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন মোটর স্থাপনের কাজ চলছে। রাত ৮টার মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।