নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুলিশের সেবা গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশি সেবা গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। আজ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ মিলনায়তনে পুলিশ নির্মিত প্রথম গ্রাফিক নভেল ‘দুর্জয়ের ডায়েরি’ এবং অ্যানিমেটেড ফিল্ম সিরিজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ড. বেনজীর আহমেদ। অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, ‘সরকার চেষ্টা করছে দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরের মতো করে গড়ে তুলতে। সরকারের এই প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ তখনই সফল হবে, যখন গ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সে সেবা নিশ্চিত করেছে। যার ফলে সারা দেশে অপরাধও অনেকাংশে কমে গেছে।’
ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে থানা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন স্বাধীনতা পরবর্তী পুলিশ কলোনিয়াল পুলিশ হবে না, পুলিশ হবে জনবান্ধব, গণবান্ধব। এ জন্য আমরা বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশি সেবা গ্রামে পৌঁছে দিয়েছি। দেশকে ৬ হাজার ৯১২টি বিটে ভাগ করে বিট পুলিশিং চালু করা হয়েছে। ফলে ২০-২৫ হাজার মামলা কমেছে।’
অনুষ্ঠানে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, এমন ৪০২টি গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ফিল্ম সিরিজ। তবে আপাতত বখাটেদের উৎপাত প্রতিরোধ, মাদক বিক্রি বন্ধ, চুরি প্রতিরোধ, সামাজিক উপদ্রব বন্ধ, চাঁদাবাজদের আটক, উঠান বৈঠক, নাশকতা রোধসহ কেউ কোথাও হারিয়ে গেলে পুলিশি সহায়তা সম্পর্কিত দশটি গল্প নিয়ে এই সিরিজ প্রকাশ করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে দুর্জয়ের ডায়েরির প্রাসঙ্গিকতা উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, গ্রাফিকস নভেলের মাধ্যম খুব দ্রুত জনগণের কাছে পৌঁছানো যায়। কার্টুন চরিত্র ‘মীনা’ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। দুর্জয়ের ডায়েরিতে গ্রাফিকসের মাধ্যমে একদিকে জনগণ বিট পুলিশিং সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আবার বিট পুলিশিং কর্মকর্তারাও তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হবেন। আইজিপি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ঘটনা, সমস্যা, তথ্য, এজেন্ডাভিত্তিক সিরিজের প্রথম খণ্ড বের করেছি। পরে এ ধরনের আরও সিরিজ বের করা হবে।’