নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে (সাময়িক বরখাস্ত) ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত দুটি চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। গত রোববার ও বুধবার এই চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরেও মেইল করে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাড়া মিলছে না। তবে এটাও ঠিক তাঁরা সাড়া দিতে বাধ্য না। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি।
গত শুক্রবার ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ঢাকার বনানী থানার পরিদর্শক শেখ মো. সোহেল রানা বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তার হন। বাংলাদেশের পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারের পর থেকেই সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, বাংলাদেশের নাগরিক ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযুক্ত হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়।
গত আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ই-অরেঞ্জ নামের একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা আলোচনায় আসেন। ওই মামলায় তাঁর বোন সোনিয়া মেহজাবীন ও ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমান এখন কারাগারে। তাঁর চতুর্থ স্ত্রী নাজনীন নাহার (বীথি) পলাতক। গত বৃহস্পতিবার ই-অরেঞ্জের আরেক গ্রাহক সোহেল রানার বিরুদ্ধে প্রায় ৮৯ লাখ টাকা প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই সোহেল রানা পালিয়ে যান। গত রোববার সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।