টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের টঙ্গীতে গাড়িতে ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এলাকাবাসীর সঙ্গে এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন শিশু বক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানী। টঙ্গীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কয়েক শ বাসিন্দা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও পরে টঙ্গী পূর্ব থানার সামনে অবস্থান নিয়ে এই বিক্ষোভ করেন।
মহাসড়কে বিক্ষোভ শেষে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এ সময় টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুর রহমানের সঙ্গে মৌখিক অভিযোগ তুলে ধরে ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান রফিকুল ইসলাম মাদানী।
রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন, ‘প্রতিনিয়ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী বাজার এলাকা থেকে জয়দেবপুরের চৌরাস্তা পর্যন্ত ছিনতাই ও গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গত কয়েক দিনে আলেম-ওলামারা এ মহাসড়ক ব্যবহার করায় গাড়িতে ডাকাতির কবলে পড়েন। তাতে কয়েকজন আলেম ডাকাত দলের সদস্যদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। কয়েক দিন আগে মাহফিল শেষে ঢাকায় ফেরার পথে টঙ্গীর গাজীপুর এলাকায় আমার গাড়িতে একদল ডাকাত হামলা চালায়। তবে আমরা কৌশলে ডাকাত দলের সদস্যদের হাত থেকে ফিরেছি।’
আলোচিত এই ‘শিশু বক্তা’ বলেন, ‘স্থানীয় আলেম-ওলামাদের নিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি প্রতিরোধে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় যুবকেরা এতে অংশ নেবেন। তবু যদি পুলিশ ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়, তবে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেব।’
বিক্ষোভে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকার মসজিদের ইমামদের মধ্যে মুফতি হাফিজুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা আব্দুস সালাম, মুফতি ইব্রাহিম খলিল, মুফতি নুর মোহাম্মদ ও মুফতি তানভীর আল মাহমুদ বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের কয়েকটি টহল দল নিয়োজিত রয়েছে।