নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকার এমআরটি লাইন-৫ নর্দার্ন রুটের পরিষেবা লাইন স্থানান্তর কাজ শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল রোববার (২৬ জানুয়ারি) থেকে। এই কাজের জন্য সাময়িকভাবে ঢাকার গুলশান-২ এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
গত বুধবার ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের (রুট-৫ নর্দার্ন রুট) পরিচালক মো. আফতাব হোসেন খানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে পাতাল ও উড়াল সমন্বয়ে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত রুট গুলশান-২ (গোল চত্বর) মেট্রো স্টেশন এলাকায় আগামী ২৬ জানুয়ারি (রোববার) সকাল ৮টা থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পরিষেবা লাইন স্থানান্তরের কাজ চলবে।
পরিষেবা লাইন স্থানান্তরের কার্যক্রম চলার সময় গুলশান-২ মোড় অভিমুখী সড়কে যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য এ পথে জনসাধারণ ও পরিবহনকে যথেষ্ট সময় নিয়ে বের হতে এবং প্রয়োজনে বিকল্প পথ ব্যবহারের অনুরোধ করেছে ডিএমটিসিএল। চলাচলকারীদের অসুবিধার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি-৫ নর্দার্ন রুটে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত মোট ১৪টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার অংশ হবে মাটির নিচ দিয়ে এবং মাটির ওপর দিয়ে যাবে সাড়ে ছয় কিলোমিটার।
মাটির ওপর দিয়ে হবে হেমায়েতপুর থেকে বলিয়ারপুর, বিল আমালিয়া ও আমিনবাজার পর্যন্ত মেট্রো লাইন। অন্যদিকে গাবতলী, দারুস সালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২ এবং নতুন বাজার স্টেশনগুলো হবে ভূগর্ভস্থ। এর বাইরে হবে মাটির ওপরে ভাটারা স্টেশনটি।
২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ১০টি প্যাকেজে শুরু হয় এই প্রকল্পের কাজ। এর মধ্যে প্যাকেজ-১-এর আওতায় হেমায়েতপুর ডিপোর কাজ প্রায় ৩৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি প্যাকেজগুলোর দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।