হোম > সারা দেশ > খুলনা

শৈলকুপা বাজারে ভেজাল কীটনাশক, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বেশির ভাগ বাজারে ভেজাল কীটনাশকে সয়লাব হয়ে গেছে। আর এসব কীটনাশক ব্যবহার করে জমির পোকা দমন হচ্ছে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি, কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় বাজারে ভেজাল কীটনাশকে ছেয়ে গেছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেজাল কীটনাশকের বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি আছে। আপনারাও আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। কোনভাবেই ভেজাল কীটনাশক বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।’ 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি অফিসের কীটনাশক লাইসেন্স ১৬টি শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শর্ত হলো লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিলারেরা সরকারি অনুমোদিত কোম্পানির ছাড়া কীটনাশক বিক্রি করতে পারবে না। আর যদি কেউ শর্ত ভঙ্গ করে তবে তার লাইসেন্স বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু এমন শর্ত মানছে না ডিলারেরা। তারা কোম্পানির অনুমোদন ছাড়াই বেশি লাভের আশায় নকল ও ভেজাল কীটনাশক বিক্রিতে উৎসাহিত হচ্ছে। 

জানা যায়, উপজেলার বাজারগুলোতে সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানির নকল ব্র্যান্ডের কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে। সিনজেন্টা, অটো, ইমাগ্রীনসহ নামীদামি ব্যান্ডের মোড়কে এসব ভেজাল কীটনাশক দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলক দাম কিছুটা কম ও চকচকে মোড়ক দেখে আসল না নকল যাচাই না করে তা কিনছেন কৃষকেরা। আর এসব কীটনাশক বিক্রি করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু ডিলাররা। 

কীটনাশক ডিলার নোমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির মোড়কে নকল ও ভেজাল কীটনাশকের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। কৃষকদের এসব নকল ও ভেজাল কীটনাশক চেনার কোনো উপায় নেই। ফলে কৃষকেরা নকল ও ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করে পোকামাকড় ও বালাই দমনে তা কোনো কাজে আসছে না। যার কারণে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মধ্যে পড়ছে।’ 

উপজেলার মাঠপাড়া গ্রামের আ. করিম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে প্রায় কীটনাশক ভেজাল। কয়েক দিন আগে বাজার থেকে বেগুনের পোকা মারার জন্য সিনজেনটার ভারটিমেক কীটনাশক কিনে জমিতে প্রয়োগ করে কোন ফল পেলাম না। এসব ভেজাল কীটনাশক কিনে টাকা চলে যায় তবে কোন উপকারে আসে না। আমরা ভেজাল কীটনাশকের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি।’ 

উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বায়ারের রুনা নামে কীটনাশক বেগুনের খেতে ব্যবহার করে কোন উপকার পাননি। এ ছাড়া সিনজেনটার রিডোমিল বেগুনের খেতে প্রয়োগ করে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিষয়টি স্থানীয় উপ কৃষি কর্মকর্তাদের জানানো হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাইনি।’ 

শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ মেহেদী ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেজাল কীটনাশক বিশেষ করে কৃষি জমির জন্য খুবই ক্ষতিকর। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব, প্রয়োজনে আমি কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব। ভেজাল কীটনাশক বিক্রেতাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিন সেতু-কালভার্টে ধস লাখো মানুষের দুর্ভোগ

রাজনৈতিক সরকার ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না: সিজিএস সংলাপে বক্তরা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা: প্রেস সচিব

সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটে অস্ত্র–গুলিসসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার

নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছে খুবি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ‘সমৃদ্ধি’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও কাঁদছেন ছাব্বিরের মা

২৬টি জুট মিল চালুর দাবিতে খুলনায় শ্রমিক সমাবেশ

দৌলতপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

পাউবোর পাইপ চুরি, গ্রেপ্তার ৩

সেকশন