মীর খায়রুল আলম, দেবহাটা
ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমানায় বয়ে চলা ইছামতী নদীর তীরে সুন্দরবনের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটনকেন্দ্র। শীত এলে এখানে অনেক পর্যটক আসেন। সাতক্ষীরার দেবহাটায় অবস্থিত রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটনকেন্দ্র আধুনিকায়ন ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবার নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দেবহাটা উপজেলার শিবনগর এলাকার ভাঙন ঠেকাতে একটি বন গড়ে তোলে উপজেলা প্রশাসন। ধীরে ধীরে এই বনের আকার ও পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে এটি একটি বড় বনে রূপ নিয়েছে।
জেলার সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ইছামতী নদীর তীরে শিবনগর মৌজায় এ বনটি অবস্থিত। এটি উপজেলায় ‘রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটনকেন্দ্র’ নামে পরিচিত। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন টাউন শ্রীপুর এলাকায় ভারতের টাকি পৌরসভার বিপরীতে ইছামতী নদীর তীরে শিবনগর মৌজায় প্রায় ১৫০ একর জমিতে কৃত্রিম এ ম্যানগ্রোভ বনটি তৈরি করে। এর সার্বিক উন্নয়নের জন্য জেলা প্রশাসনও বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়েছে। পর্যটনকেন্দ্রটিতে অধিকাংশ সময়ে জেলা, উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে পারিবারিক বনভোজনেরও আয়োজন করা হয়।
২০২১ সালের শেষের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দেবহাটায় যোগদানের পর গত অর্থবছরে ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দে বৈঠকখানার শেড নির্মাণ, ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় মাটি ভরাট, ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দে নামাজের ঘর সংস্কার, ১ লাখ টাকা বরাদ্দে ওয়াকওয়ের কাঁচা রাস্তা ইট সোলিংকরণ, ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে কফি হাউস নির্মাণ, ১ লাখ টাকা বরাদ্দে গেস্টরুম সংস্কার, ১ লাখ টাকা বরাদ্দে সেলফি পয়েন্ট পুনর্নির্মাণ, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দে শিশুকর্নার ও অনামিকা লেকের পাশে দর্শনার্থীদের বসার স্থান নির্মাণ, ১ লাখ টাকা বরাদ্দে অনামিকা লেকের ওপর ট্রেইল সংস্কার ও ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দে লেকসংলগ্ন রাস্তা সংস্কার এবং বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও টিআর তৃতীয় পর্যায় থেকে ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকার আরও তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্নের জন্য তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে এসব প্রকল্পের কয়েকটির কাজ শেষ হয়েছে এবং কয়েকটি অপেক্ষমাণ রয়েছে। পাশাপাশি পর্যটনকেন্দ্রটির ভেতরে রংবেরঙের বৈদ্যুতিক লাইট স্থাপন, চিড়িয়াখানার জন্য বালু ভরাট, মূল ভবনটি দ্বিতলকরণের কাজ চলমান রয়েছে।