মেহেরপুর প্রতিনিধি
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক বলেছেন, ‘উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা ‘জীবন’ কানেকটিভিটি হবে বিটিসিএলের লাইফ লাইন। এই একটি প্যাকেজ যা দিয়ে আমরা বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারব।’
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেহেরপুর বিটিসিএল কার্যালয়ে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা ‘জীবন’ কানেকটিভিটির উদ্বোধনে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক বলেন, ‘উচ্চ গতিসম্পন্ন এই প্যাকেজ সারা দেশে ৪ লাখ মানুষের মধ্যে দেওয়া হবে। মাত্র ৩০০ টাকায় ৬ এমবিপিএস, ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস, ১ হাজার টাকায় ২০ এমবিপিএস গতিসম্পন্ন লাইন গ্রাহকদের মধ্যে দেওয়া হবে। এরপরও বিটিসিএল লাভের মুখ না দেখলে ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সেবার মান বাড়িয়ে বিটিসিএলের প্রতি বছর দেড় শ থেকে দুইশো কোটি লোকসান বন্ধ হবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টেলিটকের ৪৮ লাখ গ্রাহকের যে সিম এক্টিভিট আছে তাদের সমস্যা দূর করার জন্য জাদুকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলালিংকের সঙ্গে এক্টিভ নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে উচ্চ গতিসম্পন্ন নেটওয়ার্ক পাচ্ছি। সেখানে ইন্টারনেট ভালো পাচ্ছি, ভয়েস কলও ভালো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টেলিটকের নেটওয়ার্ক না থাকলেও আমরা সব ধরনের সুবিধা এখান থেকে পাচ্ছি। আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই পাইলটিং প্রোগ্রাম শেষ হবে। পরে সারা দেশে এটি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রথমে বাংলালিংক ও পরে জিপি, রবির সঙ্গে টেলিটকের শেয়ারিং নেটওয়ার্ক চালু করা হবে।’
পরে মেহেরপুর ডাক ঘরের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন—প্রশাসক আসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচাল মোস্তফা কামাল, ডাক বিভাগের খুলনা সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল সামসুল আলম, বিটিসিএললের উপমহাব্যবস্থাপক নারায়ন চন্দ্র ঘরামী, জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক।