মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
করোনাকালে দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করে যশোরের মনিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে পচানো প্রায় ৩ টন চালের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা জানাতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। যদিও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পর গত ৩১ অক্টোবর চালগুলো জব্দ করে পরিষদেরই একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জব্দের এক মাস পার হলেও বিপুল পরিমাণ এ চালের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। পরিষদের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আব্দুল হককে কি সমপরিমাণ চাল কিনে দিতে হবে, নাকি সরকারি সম্পদ নষ্টের দায়ে তাঁকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে সেটাও নিশ্চিত নয়।
এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘এখানে আমার সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নাই। আমি ঠিক এ ব্যাপারে বলতে পারব না।’
গত জুলাই মাসে করোনাকালীন দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য উপজেলার সব চেয়ারম্যানদের চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। গত আগস্ট মাসের প্রথম ও শেষ সপ্তাহে দুই ধাপে ৫৫ বস্তা চাল তোলেন খেদাপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল হক। পরে চাল বিতরণ না করে পরিষদের গুদামে রেখে দেন চেয়ারম্যান। ওই পরিষদের সচিব মৃনালকান্তিও চাল বিতরণে উদ্যোগী হননি। ফলে খোলা বাতাসে চালে পচন ধরে। এরপর গত ৩১ অক্টোবর গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের পরই ৩০০-৪০০ নারী-পুরুষকে পরিষদে জড়ো করে পচা চাল বিতরণের চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান ও সচিব। খবর পেয়ে ইউএনও সেই চাল জব্দ করে পরিষদে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এখন পর্যন্ত চালগুলো সেখানেই তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।