হোম > সারা দেশ > খুলনা

ফেসবুকে পরিচয়, অতঃপর পরিণয় দুই বাক্প্রতিবন্ধীর

বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি

বেশ ঘটা করে বিয়ে হলো যশোরের বাঘারপাড়ার সদুল্লাহপুর গ্রামের তামান্না খাতুন ও ঝিনাইদহের পূর্বচর্বনী গ্রামের শামীমুর রহমান সৌরভের। তাঁরা দুজনই বাকপ্রতিবন্ধী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ধুমধাম করে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

জানা যায়, কনে তামান্না খাতুন (২১) জন্ম থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী। বাবা ভারসাম্যহীন হওয়ায় জন্মের কিছুদিন পর থেকেই মা-সহ মামা এনামুল হোসেনের বাড়িতে থাকেন তিনি। সেই বেড়ে ওঠা। গ্রামের স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর খুলনায় পড়াশোনা করার জন্য পাঠান মামা। সেখানে গোয়ালমারী প্রতিবন্ধী স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন তামান্না। এরই মধ্যে ফেসবুকে তামান্নার সঙ্গে পরিচয় হয় ঝিনাইদহের পূর্বচর্বনী গ্রামের শামীমুর রহমান সৌরভের। সৌরভও বাক্প্রতিবন্ধী। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দুই পরিবারের সম্মতিতে মধুর পরিণতি পেল সেই প্রণয়। ধুমধাম করে আয়োজন করা হয় বিয়ে। বিয়ে দেখতে ভিড় করেন এলাকাবাসী।

শামীমুর রহমান সৌরভ জন্ম থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী। তিনি ঝিনাইদহের পূর্ব চর্বনী গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে সৌরভ বড়। কর্মসূত্রে তিনি ঢাকায় থাকেন। কেয়া কোম্পানিতে চাকরি করেন।

কনের মা পারভীন খাতুন বলেন, আমার একটাই মেয়ে। জন্ম থেকেই সে বাকপ্রতিবন্ধী। খুলনায় গোয়ালমারী প্রতিবন্ধী স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেছে। ফেসবুকের মাধ্যমে আমার মেয়ের সঙ্গে সৌরভের পরিচয় হয়। সৌরভ তার বাড়িতে আমার মেয়ের ছবি দেখালে সৌরভের বাবা আমার মেয়েকে তাঁর পুত্রবধূ করার প্রস্তাব দেন। ছেলেটাও বাকপ্রতিবন্ধী। 

তামান্নার মামা এনামুল হোসেন জানান, তাঁর বোন পারভীন খাতুনকে নড়াইলের কেয়ামত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। ভাগনি তামান্নার জন্মের পর কেয়ামত হোসেন মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এরপর থেকেই বোন ও ভাগনি তাঁর বাড়িতেই থাকে। পাঁচ বছর হলো তামান্নার বাবা মারা গেছেন।

এনামুল হোসেন বলেন, তামান্না আমাদের খুব আদরের। কখনো ভাবিনি যে এমন মিলের একটা মানুষ তার ভাগ্যে থাকবে। তা ছাড়া ছেলেটা শিক্ষিত। তাই তার এই সম্পর্ককে সম্মান জানিয়ে গ্রামের অনেক মানুষকে দাওয়াত করে বিয়েটা ধুমধাম করে দিয়েছি।

বর শামীমুর রহমান সৌরভের বাবা রেজাউল করিম জানান, তাঁর দুই ছেলের মধ্যে শামীমুর রহমান সৌরভ বড়। তিনি জন্ম থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী। ছেলের সঙ্গে মেয়ের এই দিকটায় মিল হওয়ায় তিনিও খুশি। দুজনেই দুজনের ভাষা সহজেই বুঝতে পারে। তাঁরা এ বিয়েতে অনেক খুশি। 

বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লা বলেন, এরকম বিয়ে সহজে চোখে পড়ে না। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই প্রতিবন্ধী হলেও তাঁদের মিল হলো দুজনই বাকপ্রতিবন্ধী। দোয়া করি তারা যেন সুখে থাকে।

তিন সেতু-কালভার্টে ধস লাখো মানুষের দুর্ভোগ

রাজনৈতিক সরকার ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না: সিজিএস সংলাপে বক্তরা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা: প্রেস সচিব

সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটে অস্ত্র–গুলিসসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার

নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছে খুবি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ‘সমৃদ্ধি’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও কাঁদছেন ছাব্বিরের মা

২৬টি জুট মিল চালুর দাবিতে খুলনায় শ্রমিক সমাবেশ

দৌলতপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

পাউবোর পাইপ চুরি, গ্রেপ্তার ৩

সেকশন