পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর খুলনার পাইকগাছার ১০ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে চলে যান। তাতে ইউপি কার্যালয়ে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের তিনটি স্বতন্ত্র ছাড়া অন্যগুলো ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত। সে কারণে অনেক চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পরিষদে না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ইউপি থেকে দেওয়া বিভিন্ন সনদ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের মতো নাগরিক সেবা কার্যক্রম। সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ পড়েছে বিপাকে।
উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘আমি ভিসা করার জন্য পরিচয়পত্র নিতে যাই। ইউপি চেয়ারম্যান না থাকায় কয়েকবার ফিরে এসেছি। মোবাইল ফোনে একাধিক ইউপি সদস্য বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় এবং চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে আমরা পরিষদ খুলতে পারি না।’
লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘আমার বাড়ি ও মোটরসাইকেল দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। নিরাপত্তার অভাবে পরিষদে যাচ্ছি না। পরিবেশ ঠিক হলে আবার ইউর সেবা কার্যক্রম শুরু করব। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টা জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, পরিবেশ ঠিক হলে জানাবেন। তবে আগামী রোববার থেকে অফিসে বসব।’
গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। পরিবেশ ঠিক হলে পরিষদের সেবা চালু করা হবে।’
সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মানান বলেন, ‘আমার বাড়িঘর ও কোটি টাকার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি নিরাপত্তার অভাবে আত্মগোপনে আছি। পরিবেশ ঠিক হলে সেবা কার্যক্রম চলবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহেরা নানীন বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে হয়তো অনেকে ইউপি কার্যালয়ে যাচ্ছেন না। চেয়ারম্যান, সচিব, সবাইকে বলেছি নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’