হোম > সারা দেশ > খুলনা

যশোর আওয়ামী লীগ: শাহীন শক্ত অবস্থানে নড়বড়ে ভিত নাবিলের

যশোর প্রতিনিধি

যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই। এই জয়ের মধ্য দিয়ে সদরের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন পর শক্ত অবস্থান ফিরে পেতে যাচ্ছেন শাহীন। অন্যদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের সমর্থিত প্রার্থী ভোটে হেরে যাওয়ায় রাজনীতিতে তাঁর অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

যশোর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে দুটি ধারা চলছে। একটি ধারা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন শাহীন। অন্যটি নিয়ন্ত্রণ করেন নাবিল। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাঁরা মুখোমুখি হন এবং পৃথকভাবে দুটি প্যানেল ঘোষণা করেন। গত বুধবারের নির্বাচনে শাহীনের অনুসারী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং নাবিলের অনুসারী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়ী হন।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, মূলত সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন আর আধিপত্য ঘিরেই শাহীন ও নাবিলের দ্বন্দ্ব। এখানে টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য হয়েছেন নাবিল। অন্যদিকে শাহীন টানা তিনবার উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।কিন্তু শাহীন ২০২০ সালে সদর ছেড়ে কেশবপুরে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন সদরের রাজনীতিতে তাঁর ভাটা পড়ে।

সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েও কেশবপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। সদর আর কেশবপুরে ক্ষমতার কর্তৃত্ব হারিয়ে রাজনীতিতে অস্তিত্ব হারাতে বসেন শাহীন। এমন পরিস্থিতিতে সদরের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নজর দেন তিনি। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেন চাচাতো ভাই তৌহিদকে।

অন্যদিকে নাবিল সদরে তাঁর অবস্থান ধরে রাখতে নিজের অনুসারী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলকে সমর্থন দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রার্থী হন নাবিলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও ফাতেমা আনোয়ার। একাধিক প্রার্থী থাকায় বিভক্ত হয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। যার ফল হিসেবে ভোটে নাবিলের প্রার্থী বিপুল ভোটে পরাজিত হন।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, শাহীনের ভাই বিজয়ী হওয়ায় তিনি নতুন করে ভিত গড়ছেন। অনুসারীরা আবারও তাঁর ডেরায় ফিরছেন। অন্যদিকে বিভক্তিতে জড়ানো নাবিল অনুসারী বেশ কিছু জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মী তাঁকে এড়িয়ে চলছেন।

এ বিষয়ে কথা হলে নাবিলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, নির্বাচনে হেরে নাবিল আহমেদের রাজনীতি অনেকটা হালকা হয়ে গেছে, এটা সত্যি। তবে রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। জয়-পরাজয় থাকবেই। রাজনীতিতে নেতা-কর্মীরা যাওয়া-আসার মধ্যে থাকেন। এটাও রাজনীতির কৌশল। তবে এটার কোনো প্রভাব পড়বে না।

অন্যদিকে শাহীন বলেন, ‘পদ-পদবি না থাকলেও তৌহিদ চাকলাদার দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে। তৃণমূলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সে প্রার্থী হয়েছিল। এখানে আমার আধিপত্য কোনো বিষয় নয়। জনগণ চেয়েছে বলেই সে নির্বাচিত হয়েছে।’

তিন সেতু-কালভার্টে ধস লাখো মানুষের দুর্ভোগ

রাজনৈতিক সরকার ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না: সিজিএস সংলাপে বক্তরা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা: প্রেস সচিব

সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটে অস্ত্র–গুলিসসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার

নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছে খুবি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ‘সমৃদ্ধি’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও কাঁদছেন ছাব্বিরের মা

২৬টি জুট মিল চালুর দাবিতে খুলনায় শ্রমিক সমাবেশ

দৌলতপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

পাউবোর পাইপ চুরি, গ্রেপ্তার ৩

সেকশন