হোম > সারা দেশ > খুলনা

ভাইয়ের হত্যা মামলার আসামিদের হাতেই ২২ বছর পর খুন

­যশোর প্রতিনিধি

নিহত আনিসুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের চৌগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন আশা হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামিদের হাতে ২২ বছর পর তাঁর ভাই আনিসুর রহমান (৫৫) খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুপিয়ে জখম করা হলে আজ বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আনিসুরের ফুপাতো ভাই আব্দুস সালাম আহত হয়েছেন।

নিহত আনিসুর রহমান চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে এবং ২২ বছর আগে হত্যাকাণ্ডের শিকার ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন আশার সেজো ভাই। হতাহতরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজন চেয়ারম্যান আশা হত্যা মামলার আসামি এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

হত্যাকাণ্ডের তথ্য আজকের পত্রিকা নিশ্চিত করেন চৌগাছার থানার উপপরিদর্শক মেহেদি হাসান। তিনি জানান, হামলার শিকার আনিসুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৪টার দিকে মারা গেছেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আশা হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি লেন্টু ও হাদির নাম এসেছে তাঁর ভাই আনিসুর খুন হওয়ার ঘটনায়।

নিহত আনিসুরের ছোটভাই আশিকুর রহমান জানান, গতকাল রাত ৮টার দিকে আনিসুর ও তাঁর ফুপাতো ভাই আব্দুস সালাম জগন্নাথপুর উত্তরপাড়া মোড়ে একটি চায়ের দোকানে চা পান করতে যান। চা পান শেষে আনিসুর বাড়ির উদ্দেশে দোকান থেকে বের হন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আশা চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামি বিএনপি সমর্থক লেন্টু, হাদি, আমিন ও কোরবানের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী এই হামলা চালায়। তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে যান ফুপাতো ভাই আব্দুস সালাম। সন্ত্রাসীরা তাঁকেও কুপিয়ে জখম করে।

আশিকুর রহমান আরও জানান, স্থানীয়রা আনিসুর ও আব্দুস সালামকে উদ্ধার করে চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আনিসুর রহমানকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন-অর-রশিদ বলেন, নিহতের শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছার সিংহঝুলীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির রাজনৈতিক বিরোধ দীর্ঘদিনের। ২০০২ সালের ২৪ জুলাই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফ হোসেন আশা। ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত লেন্টু ও হাদি। ২২ বছর পর তাদের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী মঙ্গলবার রাতে আনিসুরের ওপর হামলা চালায়।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আশা হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর খুন হন একই ইউপির চেয়ারম্যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান মিন্টু। দুর্বৃত্তরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। চেয়ারম্যান মিন্টু হত্যাকাণ্ডের তিন দিন আগে (২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩) দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন যুবদল কর্মী আতিয়ার রহমান (৪৫)। আতিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আশা হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ধারাবাহিক এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কযুক্ত বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।

রাজনৈতিক সরকার ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না: সিজিএস সংলাপে বক্তরা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা: প্রেস সচিব

সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটে অস্ত্র–গুলিসসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার

নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছে খুবি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ‘সমৃদ্ধি’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও কাঁদছেন ছাব্বিরের মা

২৬টি জুট মিল চালুর দাবিতে খুলনায় শ্রমিক সমাবেশ

দৌলতপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

পাউবোর পাইপ চুরি, গ্রেপ্তার ৩

৫ আগস্ট নিহত আ.লীগ নেতা হিরণসহ ২ জনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন

সেকশন