খুলনা প্রতিনিধি
হাতে আর মাত্র দুই দিন সময় থাকলেও খুলনায় এখনো জমে ওঠেনি পশুর হাট। ক্রেতারা বলছেন, গতবারের চেয়ে এবার পশুর দাম অনেক চড়া। ফলে সামর্থ্যের মধ্যে পশু কিনতে ছুটছেন এক হাট থেকে আরেক হাটে।
আজ সোমবার খুলনা মহানগরীর জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেকটা কম। যারা আসছেন, তাঁরা দাম শুনে কিছুটা বিচলিত হচ্ছেন। সামর্থ্যের মধ্যে পাচ্ছে না পশু।
জোড়াগেট হাটে গরু কিনতে আসা মো. আজমল হোসেন জানান, তাঁর বাজেট এক লাখ টাকা। এই টাকার মধ্যে যে গরু পাচ্ছেন, তা পছন্দ হচ্ছে না। গতবারের চেয়ে দাম বেশি।
এদিকে দর-দামে না হওয়ায় নগরীর ফুলবাড়ী গেট গরুর হাট থেকে জোড়াগেট হাটে এসেছেন মো. হাসান ইকবাল। তিন বলেন, এবার দাম অনেক বেশি। তাঁর বাজেট এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে গরু কেনা। এই দামের মধ্যে পছন্দমতো গরু পাচ্ছেন না। তাই বিভিন্ন হাটে ঘুরছেন।
অপর দিকে হাটে কথা হয় খামারি তরিকুল ইসলামের সঙ্গে। দিঘলিয়ার এই খামারি হাটে এসেছেন ‘কালাপাহাড়’ নামে গরু নিয়ে। দাম চাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এটাই এবার এই হাটের সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি তাঁর। ইতিমধ্যে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। দামে পড়তা না হওয়ায় তিনি বিক্রি করেননি।
তরিকুল বলেন, এবার পশুর হাটে ক্রেতা কম। যা-ও আসছে, দামের কারণে না কিনে চলে যাচ্ছেন। গতবারের চেয়ে এবার দাম একটু বেশি। কেননা খাবার ও ওষুধের দাম বৃদ্ধির কারণে গরু লালন-পালনে খরচ বেড়েছে।
অপর দিকে অভয়নগর থেকে গরু নিয়ে এসেছেন আসলাম হোসেন। গত তিন দিনে একটি গরুও তাঁর বিক্রি হয়নি। এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘তিন দিনে কোনো গরু বিক্রি হয়নি। আগামী দুই দিনে কী হবে বুঝতে পারছি না।’
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমান জানান, পশু লালন-পালনে খরচ বেশি হওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার কোরবানির পশুর দাম বেশি হবে। খুলনা জেলায় এবার ২২টি পশুর হাট বসেছে। প্রতিটি হাটে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া পশু চিকিৎসার জন্য আছে ভেটেরিনারি চিকিৎসক।