নওগাঁ প্রতিনিধি
বিএনপি দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি। ওই সময় সারের জন্য কৃষককে গুলি খেয়ে প্রাণ দিতে হয়েছিল। সার পাওয়া যায়নি, সেচের জন্য তেল কিংবা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়নি। এখনকার পরিস্থিতি আর সে রকম নেই। কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে সার ও বিদ্যুতের অভাব নেই—এমন মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ সোমবার দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাস্তবায়নাধীন বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য এলাকা ব্যতীত) কর্মসূচির আওতায় বাইসাইকেল, শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘বিএনপি দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি। তাদের সময়ে কোনো উন্নয়ন হয়নি। আগুন-সন্ত্রাস করেছে তারা। অপর দিকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করেছেন। ধনী-গরিব সকলকে বিনা মূল্যে করোনার টিকা দিয়েছেন। বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন বাংলাদেশকে।’
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে সারের জন্য কৃষককে গুলি খেয়ে প্রাণ দিতে হয়েছিল। সার পাওয়া যায়নি, সেচের জন্য তেল কিংবা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়নি। এখনকার পরিস্থিতি আর সে রকম নেই। কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে সার ও বিদ্যুতের অভাব নেই। কৃষকের জন্য সরকার প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেল জুলুম উপেক্ষা করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু সততা ও নিষ্ঠার অনুকরণীয় আদর্শ। শিক্ষার্থীদের তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে জীবন গড়ার আহ্বান জানান।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড আমাদের স্বাধীনতার ওপর বড় আঘাত। সেই ধারাবাহিকতায় জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধীরা বাঙালির ভাগ্য নিয়ে ছেলেখেলায় মেতে ওঠে। ইনডেমনিটির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করে তারা। স্বাধীনতাবিরোধীদের পুরস্কৃত আর প্রতিবাদকারীদের শাস্তি দেয়।
কোমলমতি শিশুরা এখন বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পায়। মাটির ঘরের বিদ্যালয়গুলো এখন পাকা ভবন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব তুলে দেওয়া হচ্ছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ৩৫টি বাইসাইকেল ও ১১০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান কাজিবুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালামসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। পরে মন্ত্রী এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত উপজেলার ৬৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন।