প্রতিনিধি
বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও): বালিয়াডাঙ্গীর একটি গ্রামে এখানে সেখানে হঠাৎ করে আগুন জ্বলে ওঠার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়নি। প্রশাসনও এখনো এর কুলকিনারা করতে পারেনি। এর মধ্যে গতকাল শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ১২ গ্রামবাসীকে ধরে নিয়ে গেছে ঠাকুরগাঁয়ের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ছোট সিঙ্গিয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আজ রোববার সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জী ও বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি তদন্ত আব্দুস সবুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জী জানান, কয়েকদিন ধরে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকেই রাতে আগুন লাগা বন্ধ হয়েছে। দিনের বেলাও এখানে সেখানে আগুন জ্বলে ওঠার ঘটনা অনেক কমেছে।
আজ সকালে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ১৫ জন পুলিশ সদস্য, চার জন গ্রাম পুলিশ সার্বক্ষণিক ১০টি পরিবারের ওপর নরজদারি করছে।
এই পরিবারগুলোর একটির সদস্য মোতালেব হোসেন বলেন, হঠাৎ করেই গোয়েন্দা পুলিশ এসে গ্রামের লোকজনেরাই আগুন লাগিয়েছে এমন অভিযোগ করতে থাকে। এরপর মারধর করে নারীসহ ১২ জনকে থানায় তুলে নিয়ে গেছে। আমরা নিজেরাই নিজেদের ঘরে আগুন দিচ্ছি এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
গ্রামের বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, আমরা চাই, দ্রুত ঘটনার রহস্য উন্মোচন হোক। এমন ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি তদন্ত আব্দুস সবুর জানান, ঠাকুরগাঁও থেকে গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে নিয়ে গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেই ছেড়ে দেবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ, গত ২৯ এপ্রিল শবে বরাতের রাতে প্রথম গ্রামে হঠাৎ আগুন লাগে। ওইদিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও পরের দিন ৩০ মার্চ আগুনে তিনটি পরিবারের আসবাবপত্র পুড়ে গিয়ে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর থেকেই গ্রামের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলছে। সেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হাঁড়ি, পাতিলসহ নানা পাত্রে পানি সংগ্রহের পাশাপাশি পাঁচটি নতুন পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ওই গ্রামের আগুনের রহস্য উন্মোচনে গ্রাম পুলিশ ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের উপজেলা ও জেলা প্রশাসন থেকে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন সহায়তা দেওয়া হয়েছে।