প্রতিনিধি
বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিউর রহিম জাদিদের হস্তক্ষেপে একটি বাল্যবিবাহ স্থগিত করা হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে বিয়ের গেট ও লাইটিং। বরপক্ষ আসার আগেই কনের বাড়িতে এ অভিযান চলে।
জানা যায়, সোমবার (৭ জুন) বিকেলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদের ঠেক গ্রামের মাহমুদ আলীর মেয়ের নুসরাত জাহান (১৪) ও বাঘবেড় গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে সুহেল আহমদের বিবাহের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। গোপন সূত্রে ইউএনও এ খবর শুনতে পান।
খবর শুনে বিয়ের আগ মুহূর্তে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাদিউর রহিম জাদিদ, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মৌমিতা চৌধুরী, থানার এসআই পঙ্কজ ঘোষসহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে মাহমুদ আলীর বাড়িতে উপস্থিত হন। মেডিকেল অফিসার প্রাথমিক ধারণায় কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক প্রতীয়মান হয়, এ ছাড়া জন্ম নিবন্ধনের সঠিক কাগজপত্র না দেখানোয় মেয়েটি 'অপ্রাপ্তবয়স্ক' প্রমাণিত হয়। পরে ইউএনওর সিদ্ধান্ত মেনে কনের পিতা এই মর্মে অঙ্গীকার করেন যে, প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিউর রহিম জাদিদ জানান, মেয়েটির বয়স ১৩/১৪ বছরের মত হবে। তাই অভিযান চালিয়ে বিয়ে বন্ধের পরে বিয়ের গেট ও লাইটিং ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এ সংবাদটি পুলিশের মাধ্যমে বর পক্ষেকে অবহিত করা হয়।