সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে চাঞ্চল্যকর পুতুল বেগম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত তৃতীয় আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান ভূইঞা এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে মামলার একমাত্র আসামি স্বামী ওমর ফারুক দোলনকে (২৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এই ১ লাখ টাকা অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন বিচারক।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সবুজ বিষয়টির নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উমর ফারুক দোলন জৈন্তাপুর থানার আলুবাগান শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০১১ সালে সিলেটের পাঠানটুলা এলাকার রফিক আহমদের মেয়ে পুতুল বেগমকে বিয়ে করেন ৷ পুতুল বেগম মেজরটিলার স্কলার্স হোম স্কুলে চাকরি করতেন। ওমর ফারুক দোলনও এই প্রতিষ্ঠানে পিয়নের কাজ করতেন। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। ফলে পুতুল বেগম মায়ের কাছে সন্তানসহ চলে আসেন। গত ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর পুতুল বেগমকে ফোন করে উমর ফারুক দোলন জাফলংয়ের ভ্যালি বোর্ডিং স্কুল এলাকায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেন। এদিকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পিতা রফিক মিয়া কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই বছরের ১ নভেম্বর জাফলং এলাকা থেকে লাশ উদ্ধারের খবর দেখে পুতুল বেগমের পিতামাতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চুড়ি ও কাপড়চোপড় দেখে তাদের মেয়ে পুতুল বেগমের লাশ বলে শনাক্ত করেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে এই আলোচিত মামলায় রোববার দুপুরে বিচারক মিজানুর রহমান ভুইঞা ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সবুজ, বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ময়নুল ইসলাম।