নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নগরের ১৯ ওয়ার্ড নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকেছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঝুঁকি এড়াতে নগরের বেশির ভাগ এলাকায় গতকাল রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২২৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৪৯ দশমিক ২ মিলিমিটার। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। হয়তো এক বেলা বিরতি দিয়ে আরেক বেলা বৃষ্টি হতে পারে। এতে বন্যার পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ দিকে গত বুধবার এক রাতের ঢলে বন্যার পানি ঢুকেছে সিলেটের পাঁচ উপজেলায়। গত দুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছিল। বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে, এমনটা আশা ছিল। গত রোববার রাতের বৃষ্টিতে সে আশার গুড়ে বালি।
সোমবার দুপুরে সিলেট নগর ঘুরে দেখা গেছে, উপশহর, তেররতন, যতরপুর, মেন্দিবাগ, জামতলা, তালতলা, শেখঘাট, মাছিমপুর, মাছুদিঘীরপাড়, লালাদিঘীরপাড়, কলাপাড়া, মজুমদার পাড়া, লালদীঘির পাড়, সোবহানী ঘাট, মির্জাজাঙ্গাল, কদমতলী, কালীঘাটসহ অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ওসমানী মেডিকেলে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের নিচতলায় প্রশাসনিক ভবন, ২৬, ২৭ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে বন্যার পানি ঢুকেছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও আত্মীয়স্বজনের ভোগান্তি বেড়েছে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নিচতলা পুরোটাতেই পানি ঢুকেছে। গত বছরও বন্যার সময় পানি ঢুকে যায়। সংশ্লিষ্টদের বারবার জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বৃষ্টি হলেও পানি ঢোকে হাসপাতালে।’