সিলেট প্রতিনিধি
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে তাঁর জন্মস্থান সিলেটে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের সভাপতিমণ্ডলী ও পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক তাহমিন আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী ও সদস্যসচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
শোক বার্তায় তাঁরা বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শুধু সিলেটেরই নয়, তিনি ছিলেন সমস্ত বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ও গর্ব। দেশের অর্থনীতিকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১২টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন। শুধু রাজনীতি করেননি পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন। প্রায় ২১ টির মতো বই লিখে গেছেন। তিনি ছিলেন আলোকিত সিলেট বিনির্মাণের অগ্রপথিক। একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি সারা দেশে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তাঁর মৃত্যু সমগ্র জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
উল্লেখ, মহান এই ব্যক্তিত্ব ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ও মাতা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী। মা-বাবা দুজনই তৎকালীন সিলেট জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৪ ভাইবোনের মধ্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত তৃতীয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।