মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক, ডেটোনেটর ও গুলি উদ্ধার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) ইউনিট। উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এদিকে গত শনিবার ও সোমবার ওই এলাকা থেকে আটক ২৭ জনের মধ্যে চিকিৎসক, দুই ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন বলে জানিয়েছে সিটিটিসি। ইঞ্জিনিয়ার দুজন চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন।
মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, সিটিটিসির অভিযানে ১৪টি গুলি, ৫ কেজি বিস্ফোরক ও ৯৫টি ডেটোনেটর উদ্ধার হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার সকালে কুলাউড়ার পূর্ব টাট্টিউলির জুগিটিলা গ্রামে একটি টিলায় অভিযান চালায় সিটিটিসি, সোয়াত ও পুলিশ। অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় ৬ নারীসহ ১০ জনকে। এ ছাড়া তাঁদের সঙ্গে থাকা তিন শিশুকেও উদ্ধার করা হয়। ওই ছয় নারীর মধ্যে মাইশা ইসলাম (২০) নামের একজন ছিলেন, যিনি চিকিৎসক সোহেল তানজিম রানার স্ত্রী। তানজিম সিরাজগঞ্জের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন বলে সে সময় জানা গিয়েছিল। এরপর গতকাল সোমবার ওই এলাকা থেকে পালানোর সময় সন্দেহভাজন ১৭ জনকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা সবাই নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদ কাফেলা’র সদস্য বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।
সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার সকালে আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে কর্মধা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিস্ফোরক, ডেটোনেটর ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মোট ২৭ জন জঙ্গি এখান থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা নতুন জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদ কাফেলার সদস্য বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এখানে তাঁদের আরও আস্তানা আছে। তাঁদের আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাঁদের মধ্যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুজন ইঞ্জিনিয়ার আছে। আশা করছি, তাঁদের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।’