সিলেট প্রতিনিধি
দ্বিতীয় দফা হরতালের শেষ দিনে সিলেটে পিকেটিং করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সড়কে ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া নগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরাও হরতালের সমর্থনে মিছিল করেছেন।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় নগরের মেন্দিবাগ পয়েন্টে (উপশহর) যুবদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী পিকেটিং শুরু করেন। এ সময় তাঁরা হরতাল হরতাল স্লোগান দিয়ে একটি ট্রাক ও অটোরিকশা ভাঙচুর করেন। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন পিকেটাররা।
এদিকে সকাল সাড়ে ৮টায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার তেলিবাজারে মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসানসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী একটি কাভার্ড ভ্যান ও অটোরিকশা ভাঙচুর করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সামাদ নামের এক ছাত্রদল কর্মীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
সকাল সাড়ে ৬টায় নগরের শাহী ঈদগাহে যুবদল নেতা লিটন আহমদ ও জামাল আহমদ খানের নেতৃত্বে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন নেতা-কর্মীরা।
এ ছাড়া সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুল হক চৌধুরী ও সদস্যসচিব আফসর খানের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে সকাল পৌনে ৮টায় মিছিল বের হয়। মিছিলটি নয়াসড়ক থেকে শুরু হয় তাঁতীপাড়া গলির মুখে এসে শেষ হয়।
দুপুর ১২টায় নগরের চৌহাট্টা-মীরবক্সটুলায় সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল ও সদস্যসচিব শাকিল মোরশেদের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে আরেকটি মিছিল বের হয়।
দুপুরে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট হোসেনের নেতৃত্বে নগরের দরগাহ গেট এলাকায় পিকেটিং শেষে মিছিল সমাবেশ করে যুবদল।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, উপশহর পয়েন্টে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পিকেটিংয়ের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই তাঁরা পালিয়ে যান।