হোম > সারা দেশ > সিলেট

মৌলভীবাজারে পানিবন্দী ২ লাখ মানুষ

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। এদের মধ্যে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদীর পানি বেড়ে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কায় করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা।

জেলার মনু, ধলাই ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদের পানিতে চৈতন্যগঞ্জ, খুশালপুর, চৈত্রঘাট ও শ্যামেরকোনা এলাকার বাঁধ ভেঙে প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বাঁধের আরও ১০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙনের কথা স্বীকার করে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদীতে পানি বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছি। পর্যাপ্ত পরিমাণের ত্রাণ মজুত আছে।’

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিন ধরে জেলার সব কটি উপজেলায় টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। এতে পানিতে ডুবে গেছে নিচু এলাকার রাস্তাঘাট। ঈদের দিন টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

জেলার ধলাই নদের বাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে গ্রাম। কুশিয়ারা ও মনু নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে সাতটি উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের ছয়কুট এলাকা এবং আদমপুর ইউনিয়নের কাঠালকান্দি-আধাকানি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের গুজারাই, বালিকান্দী, শ্যামেরকোনা, মাইজ পাড়াসহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ড, সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। মনুমুখ ইউনিয়নেরও কয়েকটি ওয়ার্ডে পানি বেড়ে বন্যা হয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলায় ধলাই নদের বাঁধ ভেঙে মুন্সিবাজার, রহিমপুর ও পতনঊষার ইউনিয়নের কয়েকটি ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। আদমপুর, ইসলামপুর ও আলীনগর ইউনিয়নে বৃষ্টির পানি লাঘাটা ও খিন্নিছড়ায় পানি উপচে পড়ে ফসিল জমি ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে ধলাই নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ড্রেন দিয়ে পানি ঢুকে পৌর এলাকার দুটি ওয়ার্ডের বসতবাড়ি, ডাকবাংলো ও স্কুল প্লাবিত হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ, ফহেতপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া কুলাউড়া, জুড়ি, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে চাঁদনীঘাট ইউনিয়নে ১০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী আছেন। কিছুসংখ্যক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার সব কটি উপজেলায় মানুষ পানিবন্দী আছেন। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করা হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে। অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। আগে থেকেই বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলার প্রতিটি উপজেলার ইউএনওদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।’

সিলেটে বিপুল পরিমাণে চোরাচালানের মালামাল জব্দ

সিলেটে ৪০০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ ট্রাকচালক আটক

দেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২ ভারতীয় নাগরিক আটক

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে মামলা-বাণিজ্য

কমলগঞ্জে পাহাড়ি ছড়ায় যুবকের লাশ, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন

পা পড়ে না চার সেতুতে

এক মাসেও মাটি পড়েনি ফসল রক্ষা বাঁধে

শতাধিক পণ্যে ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর প্রতিবাদে সিলেটে মশাল মিছিল

হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী কেউ যেন আমাদের মাথার ওপর না বসে: ফুলতলীর পীর

গোয়াহরি বিলে পলো বাওয়া উৎসবে মানুষের ঢল

সেকশন