নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটে টাকা তুলতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকে তালা দিয়েছেন গ্রাহকেরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেট নগরের শিবগঞ্জ শাখায় অর্ধশতাধিক গ্রাহক নিজেদের চাহিদামতো টাকা উত্তোলন করতে না পেরে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান।
একপর্যায়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভেতরে রেখে গেটে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে ব্যাংকে টাকার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় গ্রাহকদের। চাহিদামতো টাকা না পেয়ে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গ্রাহকেরা সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকের গেটে তালা দেন তাঁরা।
গ্রাহকেরা জানান, ন্যাশনাল ব্যাংকের শিবগঞ্জ শাখায় বেশ কয়ে কদিন থেকে গ্রাহকেরা টাকা তুলতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গ্রাহকেরা বিভিন্ন অ্যামাউন্টের চেক নিয়ে নগদ উত্তোলনের জন্য গেলে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে ৫-১০ হাজার টাকা। কারণ জানতে চাইলে বলা হচ্ছে, ব্যাংকে টাকার সংকট রয়েছে। কিন্তু আজ সেটা ৩ হাজারে নামিয়ে আনে ব্যাংক। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাংকের গেটে তালা ঝুলালো হয়েছে।
ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা আরও বলেন, ‘আমরা ব্যাংকে টাকা রেখেছি প্রয়োজনে ব্যবহার করব বলে। কিন্তু চাহিদামতো টাকা তুলতে পারছি না। প্রবাস থেকে আমাদের অনেক আত্মীয়স্বজন টাকা পাঠাচ্ছেন। তারা টাকা গ্রহণ করলেও আমরা গ্রাহকেরা নিতে এসে টাকা পাচ্ছি না।’[
গ্রাহক ফয়জুল কয়েস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার এক আত্মীয় ইউকে থেকে টাকা পাঠিয়েছেন কিছু লোককে টাকা দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন ব্যাংকে এসে টাকা পাচ্ছি না। কিন্তু এটা তো তাঁরা বুঝবে না। যাঁরা পাওনাদার রয়েছেন, তাঁরা তো বলবেন আমরা টাকা মেরে দিচ্ছি। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আমরা তালা খুলে দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে ন্যাশনাল ব্যাংক সিলেটের শিবগঞ্জ শাখা ম্যানেজার সাব্বির হাসান বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছি না। এটা কেন্দ্রীয় সমস্যা। আমরা চেষ্টা করছি গ্রাহকদের চাহিদা মেটানোর জন্য।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রাহকদের বুঝিয়ে গেটের তালা খোলা হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি টাকা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’