নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে কারফিউ জারিকে কেন্দ্র করে ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ব্যাংক বন্ধ হয় কি না, এমন আশঙ্কা থেকে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা তুলে রাখছেন গ্রাহকেরা; যার ফলে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে টাকা তোলার দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। গতকাল মঙ্গলবার মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখা হয়। তবে লেনদেন শেষ হয় বেলা ৩টায়।
রাজধানীর মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে টাকা তুলতে আসা মনিরুল ইসলাম জানান, পরিবারের জরুরি কাজের জন্য কিছু নগদ টাকার দরকার হলেও গত কয়েক দিনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে বাড়তি টাকা তুলে রাখছেন। কারণ, গত সপ্তাহে হঠাৎ করে ব্যাংক বন্ধ ঘোষণায় নগদ টাকা নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়। এমনকি এটিএম বুথ থেকেও টাকা তুলতে পারেননি তিনি।
আতঙ্কের কারণে গ্রাহক বেশি টাকা তুললে কোনো সমস্যা নেই। ব্যাংকগুলো গ্রাহকের টাকা দিতে প্রস্তুত।
মেজবাউল হক,মুখপাত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক
সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের একজন ক্যাশ কর্মকর্তা জানান, সপ্তাহের প্রথম দিনে অনেকের টাকার প্রয়োজন হয়। মাঝে দুই দিন (শুক্র-শনিবার) বন্ধ থাকায় কাউন্টারে বাড়তি সারি। লোকজন বেশি টাকা তুলছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকিং সময় ও কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ছে। এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়। তবে আতঙ্কের কারণে গ্রাহক বেশি টাকা তুললে কোনো সমস্যা নেই। ব্যাংকগুলো গ্রাহকের টাকা দিতে প্রস্তুত।