হোম > অর্থনীতি

সাভার ট্যানারিপল্লি: বন্ধ নয়, দূষণমুক্ত করাতেই সমাধান

মাহমুদ সোহেল, ঢাকা

সাভারের হেমায়েতপুরের ট্যানারিপল্লিকে পরিবেশ ধ্বংসকারী উল্লেখ করে কেন এটি বন্ধ করা হবে না, এর ব্যাখ্যা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কাছে চেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

এই সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী হিসেবে দেখছে দেশের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। তারা বলছে, পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না। তবে এটি বন্ধ করে দেওয়াই সমাধান নয়; বরং দূষণমুক্ত করাটা জরুরি। কেননা, হাজারীবাগ থেকে সাভারে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই দেশের চামড়াশিল্প ধুঁকছে। এখন এটি বন্ধ করে দিলে এই খাত ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশ্ববাজার হারাবে বাংলাদেশ। কয়েক লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে যাবে। দেশ হারাবে বৈদেশিক মুদ্রা।

পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, বিসিককে দায়িত্ব দেওয়ার পর কথা ছিল তারা এটি নির্মাণের আগে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। তা করেনি। ফলে এটি বন্ধের দাবি উঠেছে। তবে বন্ধই সমাধান নয়। এটি করলে বিলিয়ন ডলার হারাবে দেশ। যারা অবহেলা করেছে, তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।

সাভারের ট্যানারিপল্লি প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রকল্প অব্যবস্থাপনার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৩ সালে নেওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ ১২ দফা বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি টাকার পরিবর্তে প্রকল্পের খরচ দেখানো হয় ১০১৫ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানো এবং পরিবেশবান্ধব চামড়াপল্লি গড়ে তোলা, যেন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চামড়াশিল্প আরও গতি পায়। অথচ ঘটেছে উল্টোটা। একসময়ের টলমলে স্বচ্ছ পানির ধলেশ্বরী নদী এখন এই ট্যানারির দূষণে বিষাক্তে পরিপূর্ণ। বাসযোগ্যতা হারিয়েছে আশপাশের এলাকা। সিইটিপির বিভিন্ন কম্পোনেন্টের কাজ সমাপ্ত হওয়ার আগ থেকে এখানে ১৩০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, এর দায়ভার শিল্প মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতা আছে এখানে। চামড়াশিল্পের সঙ্গে অনেক বিশেষায়িত বিষয় থাকে, সেসব ব্যাপারে বিসিকের কোনো ধারণাই নেই। রাষ্ট্রের এত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব তাদের মতো দুর্বল প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ঠিক হয়নি। কেননা, তাদের সেই দক্ষতাই নেই। ট্যানারিপল্লি আজ বন্ধের কাছাকাছি এবং ধলেশ্বরী নদী কেন চরম দূষণের শিকার, তা খতিয়ে দেখতে পরিবেশ গবেষকদের যুক্ত করে তদন্ত কমিটি করার দাবি জানান তাঁরা। আজকের পত্রিকার কাছে এ নিয়ে গবেষকেরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশি-বিদেশি নানা মহল বাংলাদেশের চামড়াশিল্প ধ্বংসের পেছনে লিপ্ত। এমনিতেই বিশ্ববাজারে চামড়াশিল্পে পিছিয়ে পড়েছে দেশ। তা ছাড়া, এই খাতের সঙ্গে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। কাজেই এটি বন্ধ করা ঠিক হবে না।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এমন হবে পরিবেশবাদীরা তা আগেই জানতেন। ট্যানারিপল্লি নিয়ে ছেলেখেলা শুরু হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি ও বিজ্ঞানসম্মত কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। অথচ হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সময় পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ ছিল এই খাতকে উন্নত করার। এখনো সব কারাখানা চালু হয়নি, তার আগেই ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও দূষণ বিশেষজ্ঞ আব্দুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নয়। দূষণ কমানো জরুরি। আইন অমান্যকারীদের বিধি মোতাবেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দরকার। বাংলাদেশে বিশ্বমানের গার্মেন্টস আছে। বিশ্বমানের চামড়ার কারখানাও করা সম্ভব।

ভরসার বিমায় হতাশার ছায়া

মিডিয়াকমের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শিরোপা পেল নিউজ ২৪

এনআরবি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাউথইস্ট ব্যাংকের ‘বিজনেস পলিসি ও প্ল্যানিং কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু

ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে ‘আর্থিক তথ্য প্রকাশ’ বিষয়ে কর্মশালা

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জুলস পাওয়ারের এমডি প্রয়াত নুহের লতিফকে বনানীতে সমাহিত

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-২০ বিশ্বকাপ বিনা মূল্যে দেখা যাবে টফিতে

পর্দা নামল ২৩তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক প্রদর্শনীর

সেকশন