নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকায় চার দিনব্যাপী ২৩ তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফ্যাব্রিক শো ২০২৫—উইন্টার এডিশন এবং ৭ম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডেনিম শো ২০২৫ শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি। কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ) ও চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি টেক্স চায়না) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) প্রদর্শনী দুটির আয়োজন করছে। প্রদর্শনী শেষ হবে ১৮ জানুয়ারি।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীর বিস্তারিত তুলে ধরেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়া ও বৈশ্বিক টেক্সটাইল এবং পোশাক শিল্পসংশ্লিষ্টরা অংশ নেবে। থাকবে ৬৫০ টির বেশি বুথ। প্রদর্শনীতে ১৫ টির বেশি দেশের প্রায় ৩২৫টি কোম্পানি অংশ নেবে। পাশাপাশি, প্রদর্শনী চলাকালীন তিনটি আন্তর্জাতিক সেমিনার হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে।
সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম প্রদর্শনীর বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রদর্শনী দুটি ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের জন্য বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত একটি কার্যকর মিটিং প্লেস, যেখানে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে ক্রেতা এবং সরবরাহকারীরা ব্যবসার প্রসারে কাজ করতে পারবেন। এ প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ এবং সিসিপিআইটি-টেক্স চায়নার যৌথ প্রচেষ্টার ৮ম বর্ষপূর্তি হবে। এই প্রদর্শনীগুলো বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিল্পের অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকশিল্প রপ্তানি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে।
সিসিপিআইটি টেক্সের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ও ডিরেক্টর চেন বো চীনের বেইজিং থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে যোগদান করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেমস-গ্লোবালের সিইও এস এস সারওয়ার এবং সেমস-গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম।
আয়োজকেরা বলেন, এ প্রদর্শনীসমূহ সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ আয়োজিত বিশ্বব্যাপী বহুল প্রশংসিত ও তিনটি মহাদেশজুড়ে বিস্তৃত টেক্সটাইল সিরিজ অব এক্সিবিশনের একটি অংশ; যা প্রতিবছর বাংলাদেশ, ব্রাজিল, মরক্কো, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়। টেক্সটাইল সিরিজ অব এক্সিবিশন ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার গার্মেন্টস ও টেক্সটাইলশিল্পের অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে।