নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ এবং রপ্তানিপণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে সরকার চামড়া, পাট ও ওষুধ খাতকে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। গতকাল সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য জানান তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা বড় ভাবনার জায়গা ছিল। ২০২৬ সালে উত্তরণের কথা থাকলেও এখন ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় মিলছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। সে বিষয়গুলো সামনে রেখে কাজ করতে হবে।
আহসানুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে সরকার কাজ শুরু করে দিয়েছে। এবার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই রপ্তানিপণ্যের বহুমুখীকরণের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চামড়া, পাট ও ওষুধ—এই তিন খাতকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ বছর হস্তশিল্পকে বস্ত্রশিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই খাতে জোর দিতে যাচ্ছি। এতে অনেক আয় হয়তো আসবে না, কিন্তু কর্মসংস্থানে বড় ভূমিকা রাখবে। আমরা ক্যাম্পেইন শুরু করেছি, আশা করছি সিপিডিকে আমাদের সঙ্গে পাব।’
‘হোয়াট ডিড ডব্লিউটিও-এমসি-১৩ ডেলিভারি ফর দ্য গ্র্যাজুয়েট এলডিসি? পারসপেক্টিভস ফরম বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারে অন্যদের মধ্যে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আলোচনায় অংশ নেন।
তিনি বলেন, এই তিন বছর সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। পোশাক খাতের ওপর নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে বিকশিত ও বহুমুখীকরণের অর্থনীতিতে প্রবেশ করতে হবে। শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা ও পণ্যের উৎপাদন দক্ষতা বাড়াতে হবে। এর জন্য শ্রমিকের স্বার্থ ও মানদণ্ড, মেধাস্বত্ব ও আধুনিকায়নে বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।