নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ-পরবর্তী আমাদের বেশ কিছু ওষুধের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা হারাবে দেশ। এর মধ্যে ইনসুলিনসহ নতুন নতুন রোগের ওষুধ তৈরিতে ৮ গুণ পর্যন্ত খরচ বেড়ে যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ডব্লিউটিও নলেজ শেয়ার’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান। র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাকের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু পণ্যে প্রণোদনা কমানো হয়েছে, এটা আমাদের এলসিডি উত্তরণ প্রস্তুতি। তবে আমাদের এখন ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে কী করণীয়, তা এখন থেকে ভাবতে হবে। কেননা, এলডিসি উত্তরণের পরে অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে দেশ। বিশেষ করে ২৬ সালের নভেম্বরে গ্র্যাজুয়েশন হওয়ার পর পরই বেশ কিছু ওষুধের ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব সুবিধা ভোগ করার জন্য বাড়তি শুল্ক প্রদান করতে হবে। এতে ওষুধের প্রকারভেদে দাম বেড়ে যাবে। বিশেষ করে ইনসুলিনের পেটেন্ট কিনে ব্যবহারের ক্ষেত্রে দাম বাড়বে কমপক্ষে ৮ গুণ। এটার আগাম প্রস্তুতি না নিলে হঠাৎ করে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে গ্র্যাজুয়েশনের ক্ষেত্রে নোটিফিকেশন করা হয়। সে ক্ষেত্রে ইলিশ মাছ ধরাকে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ বলা হয়ছে। অথচ ইলিশ সাধারণত নদীর মিঠা পানিতে ধরা হয়। পরে এটা উল্লেখ করে নোটিফিকেশন করার সময় এ বিষয়টি উল্লেখ করে এলডিসির ক্ষেত্রে পরিবর্তন চাইতে হবে।