অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি আমাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে জনপ্রিয় ইউটিউবার মিস্টার বিস্টের নতুন গেম ‘বিস্ট গেমস’। প্রথম পর্ব থেকেই এটি দর্শকদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই গেমগুলো মূলত প্রতিযোগীদের মনস্তাত্ত্বিক এবং শারীরিক দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়ার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। একইসঙ্গে এই গেমে বিজয়ীদের ৫০ লাখ ডলারের পুরস্কারও আছে। তবে অভিভাবকদের মধ্যে এই গেম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিজনেস ইনসাইডারের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিভাবকদের একাংশ মনে করছেন, এটি টাকার সঠিক মূল্যায়ন ও নৈতিকতা শেখানোর বদলে ভুল বার্তা দিতে পারে। শো-এর শুরুতেই মিস্টার বিস্ট ৫০ লাখ ডলারের একটি পিরামিডের ওপর দাঁড়িয়ে পুরস্কার ঘোষণা করেন। শো-এর বিভিন্ন গেম প্রতিযোগীদের মধ্যে ‘প্রিজনারস ডিলেমা’-র মতো মনস্তাত্ত্বিক চ্যালেঞ্জ ও চাপ তৈরি করে। এক পর্যায়ে, দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি দলের সদস্যকে শো ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে অনেকে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন এবং নিজেদের মধ্যে উত্তপ্ত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
সমালোচকদের মতে, এই শো টাকাকে কেবলমাত্র একটি মজার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করছে, যা শিশুদের শ্রমের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন ও তার মূল্য বোঝার ক্ষেত্রে ভুল বার্তা দিতে পারে। মিস্টার বিস্টের শোতে অর্থ যেন ‘সহজলভ্য’ বা ‘অলীক বস্তু’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এটি বাস্তবজীবনের অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
যদিও অন্যান্য শোগুলোতেও পুরস্কার দেওয়া হয়, তবে সেখানে অর্থকে গেমের মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দেখানো হয় না। উদাহরণস্বরূপ, ‘ডাবল ডেয়ার’ বা ‘ইস ইট কেক?’ গেমগুলোতে পুরস্কার ছিল মজাদার একটি অংশ, কিন্তু পুরো শো তার ওপর নির্ভরশীল ছিল না।
‘বিস্ট গেমস’ এর বিতর্ক সত্ত্বেও, এটি বিনোদনের নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন অনেক দর্শক। তবে, অভিভাবকদের মধ্যে চিন্তা রয়ে গেছে যে, এই শো তাদের সন্তানদের অর্থের মূল্যায়ন এবং নৈতিক শিক্ষাকে প্রভাবিত করতে পারে।