নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যাংকে দেওয়া তারল্য সহায়তার খুঁটিনাটি বিষয়ে জানতে চেয়েছে ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দল। বিশেষ করে শরিয়াহ পরিচালিত ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোকে শরিয়াহ লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (এলএসএফ) প্রতি বাড়তি নজরদারি দিতে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয় জানতে চেয়েছে সংস্থাটির চার সদস্যের কারিগরি সহায়তা কমিটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফের উদ্দেশ্য হলো সম্ভাব্য এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি, এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি প্রোগ্রাম এবং নতুন তৈরি রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) অধীনে আগামী দিনে কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে কার্যকর নীতি বাস্তবায়ন করা। এ ক্ষেত্রে চলমান মুদ্রানীতি, নীতি সুদহারের করিডর প্রথা, স্মার্ট সুদের হার বাস্তবায়নে কোনো ত্রুটি থাকলে তা দূর করে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এটি আইএমএফের কারিগরি কমিটির নিয়মিত কাজের অংশ। তারা মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন, ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তার মাধ্যমে গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখা এবং স্বল্পকালীন সুদের ঋণ নিয়ে জানতে চেয়েছে।
ব্যাংকগুলো নিজেদের প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তারল্য সুবিধা নেয়। এটা একটা চিরাচরিত নিয়ম।
৬ আগস্ট আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসে। সফরের অংশ হিসেবে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পুনরায় বৈঠক করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকগুলো নিজেদের প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তারল্য সুবিধা নেয়। এটা একটা চিরাচরিত নিয়ম। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী নিলামের মাধ্যমে স্বল্পকালীন তারল্য সহায়তা প্রদান করা হয়। গত ১৮ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে নীতি সুদহারের করিডর প্রথা, সুদহারের সীমা প্রত্যাহার ও রিজার্ভের প্রকৃত হিসাবায়নসহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলো মোট তারল্য সুবিধা নিয়েছে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে বেশির ভাগ অর্থ নিয়েছে ইসলামি ধারার শরিয়াহ ব্যাংকগুলো।