তাসনিম মহসিন, ঢাকা
বাণিজ্যে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) সুবিধা দেবে যুক্তরাজ্য। গত বৃহস্পতিবার দুই দেশের কৌশলগত সংলাপে এ বিষয়ে একমত হয়েছে উভয় পক্ষ। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জিএসপি সুবিধার বিষয়টি বৈঠকে তোলা হয়। বিশেষ করে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হয়ে যাবে। এরপর যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বাণিজ্য সুবিধাগুলো পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এ জন্য বিদ্যমান সুবিধা এরপরও বহাল রাখার জন্য যুক্তরাজ্যকে বিবেচনা করতে অনুরোধ করা হয়। দুই পক্ষ ২০২৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য জিএসপি রাখার পক্ষে একমত হয়। এ ছাড়া স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরও বাণিজ্যে অগ্রাধিকার মূলক সুবিধা বহাল রাখার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যকে আহ্বান জানানো হয়। দুই পক্ষই দুই দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন, বিশেষ করে শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর মধ্যে সংযোগ করার বিষয়ে একমত হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত এক কূটনীতিক আজকের পত্রিকাকে জানান, বৈঠকে করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশের বাণিজ্য খাত যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে, তা তুলে ধরা হয়। সেই আলোকে জিএসপি সুবিধা ২০২৬ সালের পরও বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। এ সময়ে ২০২৯ পর্যন্ত এ সুবিধা বাড়াতে দুই দেশ সম্মত হয়।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র জানায়, দুই দেশের বাণিজ্যে ভারসাম্য চায় যুক্তরাজ্য, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে। বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি বড় হওয়ায় বিষয়টিকে যুক্তরাজ্যের পণ্যের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে দেশটি। যুক্তরাজ্য এ ভারসাম্য আনতে উচ্চ পর্যায়ের সেবাগুলো বাংলাদেশে রপ্তানি করতে চায়। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবায় জোর দিয়েছে দেশটি। সার্বিক বিষয়গুলো বাণিজ্য সংলাপে আলোচনা হবে। যেখানে যুক্তরাজ্য বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্যের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। আর ইউরোপের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেছিলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলেও ২০২৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) পাবে। দুই ধাপে তিন বছর করে বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে জিএসপি সুবিধা পাবে বলে জানান তিনি।