হোম > অপরাধ > চট্টগ্রাম

পুলিশের তদন্তে দোষী, দোষ পেল না পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন ও গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগে করা মামলায় পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশেরই পৃথক দুটি তদন্ত দল। এর মধ্যে একটি তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। আর অন্য তদন্তে ওই পুলিশ সদস্যের অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পৃথক দুটি তদন্ত কার্যক্রম চালায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। 

গত বছর ২ জুন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ আনেন স্ত্রী আমেনা জাহান (২১)। অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য কনস্টেবল মো. ইব্রাহিমের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলায়। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর তাঁদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কয়েক মাস না যেতেই ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন ইব্রাহিম। শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধেও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিম খাগড়াছড়িতে কর্মরত ছিলেন। 

গত বছরের ২০ জুন ঊর্ধ্বতনের নির্দেশে অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পান খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পরিদর্শক উত্তম চন্দ্র দেব। চার মাস তদন্ত করে পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় মারধর ও জখম করার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন উত্তর চন্দ্র। ওই বছরই ২০ অক্টোবর প্রতিবেদনটি ঊর্ধ্বতনের কাছে জমা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের এমন আচরণ, নৈতিক স্খলন ও অমানবিক। এটি বিভাগীয় নিয়ম শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় শাস্তি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে বলেও উল্লেখ করেন। 

ভুক্তভোগী নারীর বড় ভাই ফিরোজ মাহমুদ আজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা পেয়েও পুলিশ দপ্তর থেকে অভিযুক্ত ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমরা শুনিনি। আমরা বিচার পাইনি। মাঝখানে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল ইব্রাহিম। পরিবারকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। পরে বাধ্য হয়ে আমরা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মামলা করি।’ তাঁরা আইনিভাবে এখনো স্বামী-স্ত্রী বলেও উল্লেখ করেন ফিরোজ মাহমুদ। 

জানা যায়, গত বছর ৭ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ মামলাটি করেন ভুক্তভোগী আমেনা জাহান। এ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিমের পাশাপাশি তাঁর বাবা হেলাল উদ্দিন ও মা মোমেনা বেগমকেও বিবাদী করা হয়। 

আদালতের নির্দেশে ওই মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই। গত ৩১ জানুয়ারি পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই উপপরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণের সপক্ষে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি বাদী নিজেও অপরাধ প্রমাণের সপক্ষে উপযুক্ত কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট টিআর খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডকেট দেখে আমি যা বুঝলাম পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেননি। একই অভিযোগের বিষয় নিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে চট্টগ্রাম ডিআইজি অফিস একটি তদন্ত করেছিল। গত বছর এটার প্রতিবেদনও দেওয়া হয়েছিল। আমার মনে হয় তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করেননি।’ 

এ আইনজীবী আরও বলেন, ‘আগামী ৫ এপ্রিল আদালতে মামলাটির শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। ওই দিন আমরা আদালতে পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেব।’ 

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে ২০২০ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর মৃত সন্তান প্রসব করেন আমেনা জাহান। বর্তমানে তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকছেন। আর ইব্রাহিম চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত।

হাতে ওয়াকিটকি নিয়ে চাঁদাবাজি, ২ ভুয়া ডিবি-এনএসআই সদস্য আটক

তানজিমের মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে ফুসফুস ক্ষতবিক্ষত করা হয়: পুলিশ

হত্যাচেষ্টার মামলায় চট্টগ্রামের আ.লীগ নেতা টিপু কারাগারে

পণ্যবাহী ৪ জাহাজের ৩টি ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি

লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে আহত: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার, থানায় মামলা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলবে নতুন দুই জোড়া ট্রেন

লক্ষ্মীপুরে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত

মেঘনা নদীতে মাটি বহনকারী দুই বাল্কহেডসহ আটক ৯

স্বর্ণ ও ইয়াবার বিনিময়ে অনুপ্রবেশ রোহিঙ্গাদের

কক্সবাজারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জসীমের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বিক্ষোভ

সেকশন