নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন বিলোনিয়া ও রামগড় স্থলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ–সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে এই কমিটি গঠন করা হয়। গত ১২ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এই কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন।
এ–সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, বিলোনিয়া ও রামগড় স্থলবন্দর সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলাম এবং সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক)। সদস্য হিসেবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
ওই কমিটি বিলোনিয়া ও রামগড় স্থলবন্দর সরেজমিন পরিদর্শন করে বন্দরসমূহের ভৌগোলিক অবস্থান, আন্তদূরত্ব, যোগাযোগব্যবস্থা, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, রাজস্ব আয়, এসব স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী আগমন ও বহির্গমন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করে মতামত দেবে। এ ছাড়া বর্ণিত বন্দরসমূহ ব্যবহারকারী পক্ষসমূহের বিদ্যমান এবং সম্ভাবনাময় আমদানি-রপ্তানি পণ্য, পরিমাণ এবং পক্ষসমূহের অর্থনৈতিক সুফল ভোগের বিষয়ে বন্দরভিত্তিক তুলনামূলক পর্যালোচনাপূর্বক মতামত দিতে বলা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে মতামত, সুপারিশসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার তড়িঘড়ি করে রামগড় স্থলবন্দর চালুর চেষ্টা করেছিল। এ জন্য ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট এই স্থলবন্দর চালুর দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু এর আগেই ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।