নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চট্টগ্রামে হোটেলে এক তরুণীকে আড়াই মাস আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে হোটেল কর্মচারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হোটেলটির মালিক, ম্যানেজারসহ আরও তিনজন পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট এলাকায় হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—হোটেলের কর্মচারী মাহফুজুর রহমান (২৯), আব্দুল আল মামুন (২৪), ইস্কান্দর আলম (২৩), মো. ইসমাইল (৩২), শারমিন আক্তার ওরফে মুন্নি (২০), সুমি আক্তার শারমিন (২৮) ও মনিফা বেগম (৩০)। চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঈনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মঈনুর বলেন, গত বছরের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি মাসের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই তরুণীকে হোটেলে আটকে রেখে দেহব্যবসায় বাধ্য করেন অভিযুক্তরা। থানায় ওই তরুণীর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি জানান, ভুক্তভোগী তরুণী লক্ষ্মী পুর সদর জেলার বাসিন্দা। তাঁকে ফুসলিয়ে হোটেলটিতে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে পলাতক রয়েছেন এসএ আবাসিক হোটেলের মালিক সিরাজুল ইসলাম (৩৩), হোটেল ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম (৩৮) ও মনির হোসেন মুন্না (৩০)।