নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার সাভার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধখামারের ভেতরে মাহফুজুর রহমান (৪৩) নামের এক শ্রমিকের লাশ পাওয়া গেছে। তাঁর গলার নিচে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে খামারের ভেতরে কর্মস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মাহফুজের লাশ পাওয়া যায়।
মাহফুজুর রহমান কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধখামারের প্রাণী পুষ্টি প্রকল্পের হাজিরাভিত্তিক শ্রমিক ছিলেন। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের চৈতা ইউনিয়নে। থাকতেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে।
পুলিশ ও গো-প্রজনন এবং দুগ্ধ খামার সূত্রে জানা গেছে, মাহফুজুর রহমান প্রাণী পুষ্টি প্রকল্পের পানির পাম্প হাউসে কাজ করতেন। তাঁর দায়িত্ব ছিল ফেটে যাওয়া পানির পাইপ মেরামত করা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাজ শেষে মাহফুজুর রহমানসহ তিন শ্রমিক বাসায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাঁরা একসঙ্গেই ছিলেন। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে খামারের ভেতরে কর্মস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মাহফুজের লাশ পাওয়া যায়।
খামারের শ্রমিকেরা জানান, মাহফুজুর রহমান সাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। আজ বুধবার সকালে শ্রমিকেরা কর্মস্থলে আসার পর তাঁর লাশ দেখে কর্তৃপক্ষকে জানায়। তাঁর লাশের পাশে সাইকেলটি পড়ে ছিল।
কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধখামারের পরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাহফুজুর রহমানকে গত ৫ জানুয়ারি থেকে হাজিরাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ঠিক কী কারণে এবং কারা তাঁকে হত্যা করেছে, তা আমাদের কাছে অজানা। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিহত মাহফুজুর রহমানের গলার নিচে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ কারণে মনে হচ্ছে তাঁকে কেউ হত্যা করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতদের সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওসি মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।