ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানী মুগদার মান্ডা এলাকায় বাড়ি নিয়ে দ্বন্দ্বে মামার ছুরিকাঘাতে ভাগনে রিমন হোসেন (২৭) নিহত হয়েছেন। মান্ডা বড়পাড়া জোড়া মসজিদের বাসায় আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় রিমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত রিমনের খালা মুক্তা আক্তার বলেন, রিমনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার অলিপাড়া গ্রামে। রিমনের মা রুবিনা বেগম মারা যাওয়ায় ছোটবেলা থেকেই মান্ডায় খালার বাসায় থাকতেন।
রিমন কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। তাঁর বাবা জাহিদ হোসেন নারায়ণগঞ্জে থাকেন।
মুক্তা আক্তার বলেন, ‘মুগদার মান্ডায় দোতলা বাড়ি আমার মা মৃত আঞ্জুমান বেগমের নামে। তিনি কিছুদিন আগে মারা গেছেন। সেখানে দোতলায় থাকেন আমার মামা বাদশা মিয়া, আমার ভাই রাজিব ও তাঁর স্ত্রী সেতু আক্তার। নিচতলায় আমি থাকি। রিমনের মা বেঁচে না থাকায় আমার কাছে থাকত ও। কিন্তু আমার বাবা জয়নাল আবেদীন, ভাই রাজিব ও তাঁর স্ত্রী সেতু চাইত না, রিমন আমাদের সঙ্গে থাকুক এবং বাড়ির ভাগ পাক।’
মুক্তা আরও বলেন, ‘আজকে (মঙ্গলবার) এসব বিষয় নিয়ে আমার বাবার সঙ্গে রিমনের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রিমন বাবাকে লাঠি দিয়ে বাড়ি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিব সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে রিমনের বুকের বাঁ পাশে আঘাত করে। পরে রিমনকে প্রথমে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। আমার ভাগনে রিমন হত্যাকাণ্ডে আমার বাবা, ভাই ও তাঁর স্ত্রী জড়িত। এই তিনজনের নামে থানায় মামলা করব।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, দুপুরে ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান তিনি। ওই যুবকের বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে।