হোম > অপরাধ > রংপুর

যুবলীগ নেতাকে মারধর: ঠাকুরগাঁওয়ের সেই ওসিকে প্রত্যাহার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে পুলিশ সুপারের (এসপি) নির্দেশে তাঁকে প্রত্যাহার করে রংপুর রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। 

এর আগে গতকাল বুধবার ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে সদর থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক। 

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন, উপপরিদর্শক খোকা চন্দ্র রায়, সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক মো. মোতালেব, উপপরিদর্শক হাফিজ ও সদর থানার অপারেশন ইনচার্জ মো. লতিফ। 

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন দায়রা ও জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ। 

পিপি বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইন, ২০১৩ অনুযায়ী মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফাইলিং করা হয়। পরে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি নিয়ে আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন এবং জেলা সিভিল সার্জনকে ভুক্তভোগীকে চিকিৎসা প্রদান করতে আদেশ প্রদান করেন।’ 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার চত্বরে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় দর্শনার্থী হিসেবে যান জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক খালিদ সিরাজ রকি। এ সময় কয়েকজন অকারণে হট্টগোল করলে তিনি বাধা দেন এবং তা নিরসনের চেষ্টা করেন। এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে কোনো কিছু না শুনে রকিকে মারধর শুরু করে এবং টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক। এ সময় তিনি সদর থানার ওসি কামাল হোসেনকে আটকের বিষয়ে এবং মারধরের কারণ জানতে চান। এতে পুলকের ওপর চড়াও হন ওসি। পরে রকি ও পুলককে মারধর করতে করতে থানায় নিয়ে যান তিনি। 

থানায় নিয়ে ওসি কামাল হোসেনসহ অন্য অভিযুক্তরা পুলকের হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে ও চোখে গামছা বেঁধে মারধর করতে থাকেন। প্রাণে বাঁচতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন কামাল হোসেন। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল হোসেনসহ অন্যরা কাঠের রুলার দিয়ে ভুক্তভোগীর বাম ও ডান পায়ের মাংসপেশিতে আঘাত করতে থাকেন। 

এভাবে একের পর এক আঘাতে ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা পুলকের বাঁ হাতের একটি হাড় ভেঙে যায়। নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে লোক দেখানো চিকিৎসার অভিনয় করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এ সময় চিকিৎসক হাতের এক্স-রে করতে বললেও অভিযুক্তরা এক্স-রে না করে থানা হাজতে নিয়ে যান। পরদিন ৩০ মে ১৫১ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

এরপর ২ মে আদালতে জামিন পেয়ে ভুক্তভোগী নেতা ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করে দেখা যায় ওই নেতার বাঁ হাতের একটি হাড় ভেঙে গেছে। এ খবর সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শহরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। 

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে এর আগে দিনাজপুরের খানসামা থানার ওসি থাকাকালীন এক ভুক্তভোগী হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন দাখিল করে, যা এখনো শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। 

ওসি কামালের প্রত্যাহারের বিষয়ে এসপি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনিক কারণে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়ারুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এমপি কাদের খান মারা গেছেন

পঞ্চগড়ে আবারও তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রির ঘরে

বাক্সবন্দী লাখ লাখ টাকার যন্ত্র

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ধাক্কা খেয়েছে জনগণের প্রত্যাশা: নুর

লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

মানুষের কষ্টের আগুনে পেট্রল ঢেলেছে সরকার: নুরুল হক

দেড় কিলোমিটার দূরে পুলিশের ফায়ারিং রিহার্সাল, বাড়িতে গুলিবিদ্ধ কিশোরী

ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির মহোৎসব

গাইবান্ধায় দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল ইউপি সদস্যের

পঞ্চগড়ের মানুষ চাইলে সারজিস কিংবা কোনো তরুণ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন

সেকশন