ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শাহিদা বেগম নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন নিহত গৃহবধূর মা মরিয়ম বেগম (৫০) ও মেয়ে সুমাইয়া (৮)। আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের চর পাইকেরছড়ার মওলানাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গৃহবধূর স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, কাঠ ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে একই গ্রামের শাহিদা বেগমের বিয়ে হয়। তাঁদের তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছে। আবু বক্কর ঘরজামাই হিসেবে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন এবং স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। এ কারণে তাঁদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। সোমবার মধ্যরাতে আবু বক্কর স্ত্রী শাহিদা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে মেয়ে সুমাইয়া ও শাশুড়ি মরিয়ম বেগমকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিহত শাহিদার মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আবু বক্কর ছুরি দিয়ে শাহিদার গলা কেটে তাকে হত্যা করেছে। শাহিদার মেয়ে সুমাইয়া বিষয়টি প্রথমে টের পান। সুমাইয়া চিৎকার দিলে তাঁকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। সুমাইয়ার চিৎকার শুনে আমি এগিয়ে গেলে আমাকে আঘাত করে পালিয়ে যায় আবু বক্কর। এ সময় শাহিদা গলা কাটা অবস্থায় পড়ে ছিল। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ‘সুমাইয়া ও মরিয়ম বেগম নামের দুজন ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁরা আশঙ্কামুক্ত।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, নিহত শাহিদার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত গৃহবধূর স্বামী আবু বক্করকে স্ত্রী হত্যার দায়ে সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।