মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীরা যেমন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন, তেমনি দেয়ালে তাঁরা প্রতিবাদী চিত্র এবং ক্যালিগ্রাফি এঁকেছেন, স্লোগান দিয়েছেন। সেই শিল্পীদের কয়েকজন এবার দাঁড়িয়েছেন বানভাসি মানুষের পাশে। অনেকে ছবি বিক্রির পোস্ট দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলেছেন, ছবি বিক্রির টাকা দুর্গতদের সাহায্যার্থে পাঠাবেন।
নুসরাত জাহান যূথী
তৃতীয় বর্ষ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, বেগম বদরুননেছা সরকারি মহিলা কলেজ
২০২০ সাল থেকে যূথীর ছবি আঁকার জগতে পদচারণ। ছবি বিক্রি করে তিনি প্রতি মাসে বেশ ভালো অর্থ আয় করেন। মোট ৬টি পেইন্টিং ৪০ হাজার টাকায় বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তিনি। এসব ছবি বিক্রির পুরো অর্থ জমা হবে কোনো বিশ্বাসযোগ্য ত্রাণ তহবিলে। ২০২১ সালে তিনি ৪টি ছবি বিক্রির ২০ হাজার দিয়েছিলেন টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের ত্রাণ তহবিলে।
তৃতীয় বর্ষ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকেন সামিয়া ইসলাম। বন্যার্তদের সহায়তায় নিজের কাছে থাকা সব ছবি বিক্রির পোস্ট দেন ফেসবুকে। এসব ছবি বিক্রির টাকা তিনি তুলে দেবেন বন্যার্তদের ত্রাণ তহবিলে। সামিয়া জানান, ছবি বিক্রিসহ বিভিন্নভাবে তিনি বন্যার্তদের সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। শুধু বন্যা নয়, এর আগেও বিভিন্ন কারণে নিজের ছবি বিক্রি করে তিনি মানুষের পাশে থেকেছেন।
শিক্ষার্থী এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত
শান্তা ছবি আঁকছেন বয়স ৯ বছর ধরে। প্রকৃত দামের অর্ধেক টাকায় তিনটি ছবি বিক্রির জন্য পোস্ট দিয়েছেন শান্তা। ছবি বিক্রির বাইরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে দুর্গতদের জন্য সহায়তা পাঠিয়েছেন। ২০২১ সালে এক ক্যানসার রোগীর চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে নিজের ছবি বিক্রি করেছিলেন তিনি।